তাহিরপুর সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, মেঘালয়ে ভারত সরকার দীর্ঘদিন ধরে কয়লাখনি খননের পর থেকেই মূলত পাহাড় ধসের ঘটনা বৃদ্ধি পায়। ২০০৮ সালের ১৩-২১ আগস্ট টানা বর্ষণে ভারতের ওয়েস্টহিল খাসিয়া পাহাড় (কালা পাহাড়) ভেঙে তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী চানপুর-রজনীলাইন-পাহাড়তলী, কড়ইগড়া, লালঘাট, ভরুঙ্গাছড়ায় প্রায় ৪০০ একর কৃষিজমি ভরাট হয়। প্রায় ২০০ পরিবার কৃষিজমি-ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়। এলাকায় ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, পুকুর, হাওর বালু-পাথরের নিচে চাপা পড়ে। ভরাট হয়ে যায় পাহাড়ি ছড়াগুলো।
এদিকে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে আবারও পাহাড়ি ঢলে ওই এলাকায় প্রায় ২০০ একর ফসলি জমি বালুতে ভরাট হয়ে যায়। এ সময় কড়ইগড়া ছড়ায় স্লুইস গেটের তীরের বাঁধ ভেঙে ১০টি আদিবাসী পরিবারের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবারের তিন দফা বন্যায় পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে।
এব্যাপারে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আদিবাসী নেতা শঙ্কর মারাক বলেন, ‘প্রতি বছরই মেঘালয় পাহাড় থেকে ঢলের সাথে নেমে আসা বালু-পাথরে আমাদের এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ ও কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে এবং অনেকেই বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে।’
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সফর উদ্দিন বলেন, তাহিরপুর সীমান্ত এলাকায় ঢলের কারণে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। আমরা সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি।