পশ্চিম সুন্দরবনের কলাগাছি, দোবেকী এবং কোবাদক এলাকা থেকে এসব জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অপহৃত জেলেদের মধ্যে রাজ্জাক ওরফে রাজু, এমপি সজল, আবু নাসির, আনারুল, হেলালুজ্জামান ও শাহা আলমের নাম জানা গেছে। বাকিদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
তবে ফিরে আসা জেলেদের দাবি, আরও আটজন জেলেকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে গেছে বনদস্যুরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জিম্মি জেলেদের স্বজনরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বনদস্যু আমিনুর বাহিনীর পরিচয়ে সাত সদস্যের দলটি ৮ সেপ্টেম্বর দোবেকী এলাকা থেকে শাহ আলমও তার ভাইসহ তিনজনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর কোবাদক এলাকা থেকে পাঁচ জেলেকে জিম্মি করে তারা। এসময় জিম্মি জেলেদের দুই সহযোগীকে বনদস্যুরা শারীরিকভাবে আহত অবস্থায় বাড়িতে ফেরার সুযোগ দেয়। সেইসাথে দ্রুতসময়ের মধ্যে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের জন্য ০১৯৫৩৭২৫৬৫০ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয় বলে ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন থেকে পাশের বনে প্রবেশের পরপরই একই বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সজলসহ ছয় জেলেকে অপহরণ করা হয়। একই নম্বর দিয়ে ফোন করে পরবর্তীতে মুক্তিপণের টাকা কোথায়, কখন, কিভাবে পৌঁছাতে হবে তাও জানিয়ে দেয় বনদস্যুরা।
এদিকে, স্থানীয় কয়েকজন জেলে দাবি করেছেন, সজলদের কিছু সময় আগেই নীলডুমুর গ্রামের আব্দুল হাকিম ও তার ভাইদের পাঁচটি নৌকা সুন্দরবনের ভেতরে প্রবেশ করে। তার কিছুক্ষণ পরেই সজলদের কয়েকটি নৌকা একই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বনদস্যুরা নৌকাগুলো আটক করে এবং নৌকা ও প্রতি বহর থেকে একজন করে মোট ছয়জনকে তুলে নেয়।
ফিরে আসা এসব জেলেদের দাবি, আগের বহরে বনদস্যু আমিনুর বাহিনীর প্রধান আমিনুরের ভায়রা ভাই ও তার ভাইয়েরা ছিল। আমিনুরের ওই ভায়রা ভাই ইতোপূর্বে মুক্তিপণের টাকা প্রদান করায় পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা জানান, জেলে অপহরণের বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।