শনিবার বিকালে উদ্ধারকৃত ও আটক ব্যক্তিকে বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার মাঝেরকেল্লা এলাকা থেকে কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে।
কোস্টগার্ড জানায়, অপহরণকারীরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই শিশুদের অপহরণ করে। এরপর সুন্দরবনে জোরপূর্বক তাদেরকে দিয়ে মাছ শুকানোর কাজে ব্যবহার করে।
আটক মো. নুরুল হক লেদু মিয়া (৩৬) চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার কচুরী গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে ও অপরহণকারী চক্রের সদস্য।
উদ্ধারকৃতরা হলো- কিশোরগঞ্জ জেলার রেনু মিয়া, টুটুল মিয়া, চাঁদপুর জেলার মো. মানিক হোসেন, ময়মনসিংহ জেলার মো. হৃদয়, মো. রিমন, হবিগঞ্জ জেলার মো. আক্তার হোসেন, নোয়াখালী জেলার মো. আলামীন হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, চট্টগ্রাম জেলার আমির হোসেন ও কুষ্টিয়া জেলার মো. পারভেজ। এদের মধ্যে হৃদয় ও আলামিন ছাড়া অন্যরা সবাই শিশু।
কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, গোপনে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা সুন্দরবনের মাঝেরকেল্লা এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে বিভিন্ন বয়সের আটজন শিশু এবং দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ককে উদ্ধার করা হয়। এসময় অপহরণকারী চক্রের সদস্য লেদুমিয়াকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটজন শিশুসহ ১০ জনকে কাজ দেয়ার কথা বলে নিয়ে আসে অপহরণকারীরা। পরে নৌকাযোগে তাদের সুন্দরবনের চরে আনা হয়। সেখানে জোরপূর্বক তাদেরকে দিয়ে মাছ কাটা-বাছা এবং শুকানোর কাজ করানো হচ্ছিল।
এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।