সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ঈদ বাজারগুলো ক্রেতা, বিক্রেতার ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠছে তবে কেউই স্বাস্থ্যবিধি পালন করছেন না।
ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানে ঠাই পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রি ভালো তাই দোকানিরা খুবই খুশি।
উপজেলায় প্রায় ১০০টি শপিংমল আছে। করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন যাবত লকডাউনে শপিংমল বন্ধ থাকার কারণে মানুষের প্রয়োজনীয় সামগ্রী জুতা, প্যান্ট, শার্ট, শাড়ি কাপড়ের পাশাপাশি মহিলাদের যাবতীয় কসমেটিক্স আইটেম ক্রয় করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হাট বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বেহাল অবস্থা
তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কথা থাকলেও কেউ মানছে না কোনো সামাজিক দুরত্ব। শপিংমল গুলোতে পুরুষদের চাইতে মহিলাদের ভিড় বেশি দেখা গেছে ।
সকালে শপিংমল খোলার আগেই ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। কখন শপিংমল খুলবে, আর কখন চাহিদা মতো শপিং করে বাসায় ফিরবে এই অপেক্ষায় ছিলেন ক্রেতারা। আর বিক্রি ভালো হওয়ায় দোকানিরা খুবই খুশি।
সরজমিনে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি বাজার ও মার্কেট গুলোতে পুরুষ ক্রেতার চেয়ে মহিলা ক্রেতার ভিড় বেশি। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তারা নিজেদের ছেলে মেয়েদের জন্য পছন্দ অনুযায়ী পোশাক কিনতে ও ঈদের অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয় করতে মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছেন। তবে এতে করে অধিকাংশ ক্রেতা মাস্ক ব্যবহার না করে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে চলাফেরা করছে মার্কেটের দোকান গুলোতে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি অমান্য: চুয়াডাঙ্গায় সব মার্কেট, শপিংমল বন্ধ ঘোষণা
জগন্নাথপুর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিটি মুসলিম পরিবার দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তাদের সাধ্যমতো ঈদের পোশাক ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে সবাই মিলেমিশে ঈদের আনন্দকে উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। আমরা ব্যবসায়ীরা এই ঈদে বেশি কেনা বেচা করতে অপেক্ষায় বসে থাকি। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে গত বছর ব্যবসা মন্দা ছিল। তবে এবছর কিছুদিন আগে সরকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট, শপিংমল স্বল্প পরিসরে খোলার অনুমতি দেওয়ায় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করতে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বিশেষ করে গ্রাম এলাকার মানুষের মাঝে করোনা সম্পর্কে সচেতনতা দেখা যাচ্ছেনা। আমরা ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করছি সরকারের নির্দেশনা মতো সামাজি দুরত্ব বজায় রেখে ও মাস্ক পরিধান করে চলতে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। যারা করোনা সম্পর্কে সচেতন তারা ঠিকই মাস্ক, সেনিটাইজার ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছেন।
জগন্নাথপুর বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহির উদ্দিন বলেন, মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীরা এক বছর যাবৎ ব্যবসা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিল। এবছর ও করোনার দ্বিতীয় ধাপে আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে মহা বিপদে আছি কখন যে কি হয়। তবে এবছর ঈদে সামান্য ব্যবসা করে কোন রকম টিকে থাকতে পারবো।