কুড়িগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রশাসন থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হলেও হাট বাজারগুলোতে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। নিরাপদ দুরত্ব না মেনেই ক্রেতারা বাজারগুলোতে ঘোরাফেরা করছেন। বেশ কিছু মানুষ মাস্ক ছাড়াই বাইরে বের হয়েছেন। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
বুধবার সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিনে বিশেষ করে শহরের জিয়াবাজার, পৌরবাজার, খলিলগঞ্জ বাজার, ত্রিমোহনী বাজারে লেজেগোবরে অবস্থা। এসব এলাকায় অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মত ক্রেতারা বাজারে ভিড় করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে জটলা করে লোকজন রাস্তায় অবস্থান করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ীর শব্দ পেলেই তারা গলিতে গিয়ে লুকাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
এদিকে দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিকদের নিয়ে ছেড়ে আসা ট্রাক লকডাউনে আটকে পরায় ভোগান্তিতে পরেছে বাড়ি ফেরা শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংয়ের কিশোরগঞ্জ থেকে ৩০জন ইট ভাটার শ্রমিক নিয়ে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক (ট-১৩৪১৪৪) বুধবার দুপুর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম শহরে আটকে পরেছিল। হোটেল বন্ধ থাকায় পেটে খাবার পরেনি তাদের। অনুমতি ছাড়াই শ্রমিক নিয়ে লকডাউনে শহরে ঢোকায় শাস্তি স্বরুপ গুণতে হয়েছে জরিমানা।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
ট্রাকে আসা শ্রমিক ছানোয়ার হোসেন, রায়হান মিয়া ও আফজাল হোসেন জানান, তারা ৬ মাস আগে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ডাওকিয়া মোড় সাদুল্লা বাজারের কাছে অপু মিয়ার ইট ভাটায় কাজ করছিল। লকডাউনে ভাটা বন্ধ হওয়ায় সর্দার
ট্রাক ভাড়া করে তাদেরকে বাড়ি পাঠায়। তারা জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানাধীন তরীরহাট এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: লকডাউন: স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ
ট্রাকচালক ফজলু মিয়া জানান, ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় মঙ্গলবার দুপুরে ৩০ জন ইট ভাটার শ্রমিককে নিয়ে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। প্রশাসনের অনুমতি না নেয়ায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হলো। এখন পর্যন্ত কারো পেটে ভাত পরেনি বলে তিনি জানান।