ডেকে নিয়ে খুন করার পর ওই ছাত্রের বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
নিহত নুরুজ্জামান গাজী বাবু (২০) উপজেলার পুড়াখালী গ্রামের ইমরান গাজীর ছেলে ও ধোপাদী এসএস কলেজ থেকে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তার।
এই ঘটনায় পুলিশ রিফাত হোসেন আউস (১৮) ও আবদুর রাজ্জাক (৫০) নামে দুইজনকে আটক করেছে। আটক রিফাত উপজেলার পুড়াখালী গ্রামের সরোয়ার খন্দকারের ছেলে ও মথুরাপুর দাখিল মাদরাসা থেকে এবার দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। আর রাজ্জাক ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদালপুর গ্রামের আবদুল লতিফ পাটোয়ারির ছেলে। তিনি পুড়াখালী গ্রামে বিয়ে করে সেখানে ঘরজামাই হিসেবে আছেন।
নিহতের চাচা ইয়াসিন আলী গাজী জানান, সোমবার রাতে নুরুজ্জামান বাড়িতে ছিলেন। রাত ৯টার দিকে গ্রামের রিফাত তাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে নুরুজ্জামান আর বাড়িতে ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে মঙ্গলবার তার বাবা ইমরান গাজী অভয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। রাতে নুরুজ্জামানের মোবাইল নম্বর থেকে বাবা ইমরান গাজীকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানোও হয়েছিল।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পুড়াখালী বাঁওড়ের আগাছার ধাপের নিচ থেকে পুলিশ নুরুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের শনাক্ত করা হয়। এরপর বুধবার অভয়নগর ও ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই অপহরণকারীকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নুরুজ্জামানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যায়। বুধবার গভীর রাতে পুলিশ অপহরণকারীদের নিয়ে পুড়াখালী বাঁওড়ে যায়। এ সময় দুই অপহরণকারী বাঁওড়ের আগাছার ধাপের নিচে লাশ আছে বলে জানায়।
উপজেলার পাথালিয়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম জানান, প্রথম রাতেই অপহরণকারীরা নুরুজ্জামানকেকে হত্যা করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।