হবিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নিকট কালনী কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বাড়ছে।
জেলার ৬টি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। উপজেলাগুলো হলো- নবীগঞ্জ, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর, বাহুবল ও মাধবপুর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস সূত্র জানায়, আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা কমছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ২ হাজার ৭৫০ জন অবস্থান করছে। ১১৬ আশ্রয় কেন্দ্রর মধ্যে ৮টি চালু আছে। এর বেশিরভাগই নবীগঞ্জ উপজেলায়। এ২১ জুন (ইউএনবি)-পর্যন্ত ৫১০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এলজিআরডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম জানান, বন্যায় ৫৭ কিলোমিটার পাকা সড়কের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৮১ কোটি টাকা।
অপরদিকে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, সওজের অধীন পাগলা-জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কের আধা কিলোমিটার বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যাবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি