ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের বিক্ষোভ চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সর্বশেষ গত ১২ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত আরও সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই ঘটনা সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত ৪৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারকৃতরা অধিকাংশই হেফাজতের নেতা ও কর্মী-সমর্থক। এছাড়া এদের মধ্যে বিএনপি ও জাময়াতের নেতা-কর্মীও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী গ্রেপ্তার
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাণ্ডবের ঘটনার সময়ে ধারনকৃত স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চার, সরাইল থানায় দুই ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ সকল মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোককে আসামি করা হয়। পুলিশ এ পর্যন্ত ৪৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের অর্থাদাতাদের শনাক্তে তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মহান স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। এ সময় হামলাকারীরা সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।