১০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর সারাদেশের সঙ্গে খুলনার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আনসারবাড়িয়া স্টেশনের অদূরে খুলনাগামী মালবাহী ট্রেনের ৮টি তেলের ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়। সেসময়ই সারা দেশের সঙ্গে খুলনার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার পর ট্যাংকারগুলো রেললাইন থেকে সরানো হলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
রাত পৌনে ১টায় লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটলেও তাৎক্ষণিক উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়নি। পাবনা ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন এনে সকাল ৭টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। খুলনা থেকে আরেকটি রিলিফ ট্রেন উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
উথলী রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মিন্টু রায় জানান, লাইনচ্যুত ট্যাংকার উদ্ধারে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আসা এবং খুলনা থেকে আসা উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ভোর থেকেই কাজ শুরু করে, যা বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ উদ্ধারকাজ শেষ হয়।
এদিকে, ১০ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় দেখা যায় শিডিউল বিপর্যয়। বিভিন্ন স্টেশনে ও ট্রেনে আটকে পড়েন যাত্রীরা। খুলনা থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যেসব ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সেগুলোর ট্রিপ বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ৮ ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়ে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
স্টেশন মাস্টার মিন্টু রায় বলেন, ১০ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আটকে পড়া ট্রেনগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে।
এদিকে রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, চার ঘণ্টা ধরে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। ট্রেন চলাচল এখন স্বাভাবিক। লাইনচ্যুতির কারণ তদন্তে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি হয়েছে।