সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, সারা বিশ্বে গণমাধ্যমের উপর মানুষের আস্থা কমে গেছে। মানুষ এখন আর গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করে না। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, ইউরোপে জরিপ চালিয়ে জানা গেছে। ইউরোপের ১১টি দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছিল, তারা গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করেন না। কারণ এখনকার সংবাদপত্র কারো পক্ষে লিখে, কেউ আজেবাজে লিখে বা মিথ্যা লিখে। তাই বেশির ভাগ মানুষ যার ওপর বেশি আস্থা রাখে তিনি বড় সাংবাদিক। সাংবাদিক সংগঠন শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, ভাল সাংবাদিক তৈরির জন্যে প্রয়োজন।
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেছেন। শনিবার বেলা একটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জেলা শহরের মসজিদ রোডস্থ এ মালেক কনভেনশন সেন্টারে এই সমাবেশ চলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এই সমাবেশের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএফইউজে'র সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএফইউজে'র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে'র মহাসচিব দীপ আজাদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে'র কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে হেফাজতে ইসলামের হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রেসক্লাবে এই হামলার ফলে দুটি সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এক হচ্ছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একক প্রেসক্লাব আছে, আরেকটি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সত্য-সুন্দর ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে। যারা এই হামলা করেছে তারা হচ্ছে অন্ধকারের শক্তি। এই অন্ধকারের শক্তিরা প্রথম সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করতে চায়।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের কোন সমস্যা হলে প্রেসক্লাব পাশে দাঁড়াবে, তেমনি প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক কোন সমস্যা হলে ইউনিয়ন পাশে দাঁড়াবে। এই
নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গোটা বাংলাদেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরি হবে। সমাবেশে জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ১৩০জন সাংবাদিক অংশ নেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আইন ও নীতিমালা করা হচ্ছে: ফখরুল