রাজনীতি
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে নেই আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক যে বক্তব্য দিয়েছে তা নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার সামান্যতম অস্বস্তিতে নেই বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামীলীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
কাদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। সম্পর্ক আরও ভালো করার জন্য আমরা যথেষ্ট ধৈর্যশীল। আর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ছিল দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। নির্বাচনের পরেও বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত অপশক্তি নির্বাচনকে বিতর্কিত করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক পন্থায় অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় বসাতে দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা ছিল। তবে এখন নেই - সেটা বলা যায় না।
কাদের বলেন, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন নির্বাচিত সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন সম্ভব। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। তবে তাদের অনুপস্থিতিতেও নির্বাচন ভোটারশূন্য ও প্রতিদ্বন্দিতাহীন হয়নি।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
এ সময় বিএনপির চুপ থাকা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, তারা এখন শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরনের সহিংসতার জন্য। তাদের প্রতি নতুন করে আর কোনো আহ্বান নেই আমাদের। তারা নেতিবাচক রাজনীতি থেকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসুক এটাই চাই।
তিনি আরও বলেন দেশের সমস্যা নিয়েই এখন শেখ হাসিনা সরকারের সব ভাবনা। ফেলে যাওয়া সংকট নিয়ে সময় ক্ষেপণ করার সময় আমাদের নেই। দায়িত্বশীল পদে যারা রয়েছেন, তাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া হ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: টিআইবি বিএনপির ‘দালাল’: কাদের
৭১০ দিন আগে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কোনো নির্বাচনই বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়, এমনকি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও নয়।
তিনি বলেন, কোনো নির্বাচনই বিতর্কের ঊর্ধ্বে যায়নি। এমনকি যে নির্বাচন নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট, সেটিও বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফল করার জন্য আয়োজিত ধন্যবাদ অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচন খুব একটা অংশগ্রহণমূলক ছিল না, কারণ একটি বড় দল শুধু নির্বাচন বর্জনই করেনি, বরং এটি যাতে অনুষ্ঠিত না হয় এবং তারা এটিকে প্রতিহত করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে: সিইসি
তিনি বলেন, 'নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় জাতি সন্তুষ্ট হয়েছে।’
অপবাদ ও বদনাম দুটোই নিতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় একটি কাজ সফল করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি এই সংকট কাটিয়ে উঠেছে।’
রাজনীতিবিদদের আস্থা না থাকলে নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্যতা পায় না।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: ঢাকা বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘বিশ্বাস নিয়ে কাজ করে সফল হয়েছি। আমি যে স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি সেখান থেকে নিচে নামতে পারি না। আমরা দেখবো কিভাবে এই কমিশন কাজ করে। এটা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’
আরেক কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে না পারলে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
‘চ্যালেঞ্জ করলে আমরা সেটা দেখাতে পারি। এবারই প্রথম প্রতিটি আসনে গঠিত নির্বাচনী তদন্ত কমিটি কাজ করেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও ভালো কাজ করেছেন।’
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকা, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ, সংলাপ ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছি।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন ছিল একতরফা ও কৃত্রিম প্রতিযোগিতা: টিআইবি
৭১০ দিন আগে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। গণতন্ত্র বলতে শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে বোঝায়। তাই নীতিগতভাবে সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক।
এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, রাস্তায় সরকারের বন্দুক ও গুলি মোকাবিলায় নিরস্ত্র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
তিনি বলেন, এভাবে আমরা এই সরকারকে পরাজিত করব। আজকের এই দিনে আমরা এই শপথ নিই। আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব এবং এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
জনগণই বিএনপির শক্তি উল্লেখ করে ড. মঈন খান বলেন, বন্দুকের নল, বুলেটের শক্তি, কাঁদানে গ্যাসের শক্তি, জলকামানের শক্তি বা এই সরকারের যত ক্ষমতাই থাকুক না কেন জনগণের সেই শক্তি দিয়ে বিএনপি বর্তমান অবৈধ দ্বিতীয় বাকশাল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘তাদের দল লগি-বৈঠা দিয়ে রাজনীতি করে না। তিনি বলেন, সভ্য মানুষই বিএনপির রাজনীতি করে। এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই দাবি করে তিনি বলেন, চূড়ান্ত সফলতা পেতে হয়তো দীর্ঘ সময় লাগতে পারে, কিন্তু তারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার ও অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথের আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হবে না।
জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্দোলনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ড. মঈন।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতি দেখেই জনগণের ইচ্ছা বোঝা যায়: রিজভী
৭১১ দিন আগে
রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে বা অজ্ঞতা থেকে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সংবিধানের ১২৩, ১৪৮ ও ৫৬ অনুচ্ছেদের ঊদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বলছেন এখন সংসদ সদস্য সংখ্যা ৬৪৮, তারা সংবিধানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করছেন না। উদ্দেশ্যমূলক কিংবা রাজনৈতিক কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য তারা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। আর যদি সেটা না হয় তাহলে, তাদের সংবিধানের এইসব অনুচ্ছেদ সমন্ধে সম্যক জ্ঞান নেই।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তারা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন।’ আর আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা ওই তারিখ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন।আনিসুল হক জানান, ৩০ জানুয়ারি থেকেই নতুন সংসদ সদস্যরা এমপি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নতুন সংসদের অধিবেশন বসার পর বর্তমান সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে।
৭১১ দিন আগে
টিআইবি তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির হাতে ‘অস্ত্র তুলে দিচ্ছে’: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাচনবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির হাতে 'অস্ত্র তুলে দিতে' ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কি না তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল প্রশ্ন তুলেছে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি যা বলছে আর টিআইবি যা বলছে তার মধ্যে ভাষার দিক থেকে মিল আছে বলে মনে হচ্ছে। টিআইবি নির্বাচনবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে না, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বিচ্যুত না হয়ে টিআইবি ‘একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্রে’ পরিণত হবে না এবং এর সুনাম সমুন্নত রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, টিআইবির প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্নসহ বেশ কয়েকবার ফোন পেয়েছেন।
হাছান মাহমুদ দাবি করেন, টিআইবির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা কোনো গবেষণা না করেই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বের দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত: হাছান মাহমুদকে ল্যাভরভ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন একটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, ওআইসি ও অন্যান্য দেশের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এটিকে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, মনে হচ্ছে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য পরিশীলিত করেই টিআইবি তাদের প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাতিলসহ কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বলিষ্ঠ ভূমিকা দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘টিআইবির প্রতিবেদনে ইসির প্রচেষ্টার কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি।’
টিআইবি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল একতরফা তবে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ চেহারা দেখানো হয়েছিল।’
'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং' শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। সেখানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি অশনিসংকেত।’
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের কাছে তুলবেন হাছান মাহমুদ
৭১১ দিন আগে
টিআইবি বিএনপির ‘দালাল’: কাদের
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনকে একপেশে ও সরকারবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি সংস্থাটিকে বিএনপির দালাল বলেও মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টিআইবি বিএনপির সুরে কথা বলে। ইতিহাস বলে- তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিল, বিএনপির পক্ষে কথা বলে। তাদের গবেষণার নিরপেক্ষতা আমরা খুঁজে পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলা কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা ১০০ মারা গেলে ৫০০ বানিয়ে দেয়। টিআইবিও তাদের মতো। এই টিআইবি বলেছিল পদ্মা সেতু অসম্ভব। একই কথা সিপিডিও (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ) বলেছিল।’
মন্ত্রী বলেন, মামলা করে সবকিছুর সমাধান হয় না। তাদের রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। কথা বা তর্কের মাধ্যমে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।
বুধবার টিআইবি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক’ হয়নি।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে রণকৌশল থাকবেই। আমাদের দ্বন্দ্ব-কোন্দল আছে, থাকবেই। সব দলেই থাকে। এসব নিয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে যত সমস্যায় থাকুক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনের উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে করার বিষয় আওয়ামী লীগের বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদে বিরোধী দল কারা হবে, সংসদ চালু হলেই তা বোঝা যাবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এজন্য শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ অন্য সব ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলো বাস্তবতার নিরীখে তাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
৭১১ দিন আগে
বাংলাদেশের নির্বাচন ছিল একতরফা ও কৃত্রিম প্রতিযোগিতা: টিআইবি
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক ছিল না বলে একটি প্রতিবেদনে বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত গত ৭ তারিখের ভোটের ফলাফল মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লাভ-ক্ষতিসহ সামগ্রিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশুভ, যা গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
আজ ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এতে বক্তব্য দেন।
টিআইবি তাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের অধীনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ৫০টিতে এই জরিপ পরিচালনা করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, 'দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক পরস্পরবিরোধী ও অসহিষ্ণু অবস্থানের কারণে নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি।’
এতে বলা হয়,‘এই পরস্পরবিরোধী কর্মসূচি এবং অসহিষ্ণুতা কারণে সংঘাতের কাছে গণতন্ত্রের ভবিষ্যতকে জিম্মি করার অবস্থা আরও তীব্র হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের সত্যতা ও সম্পদের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান টিআইবির
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, 'একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অব্যাহত থাকা নিশ্চিত করার কর্মসূচি সফলভাবে অর্জিত হয়েছে। যার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা নাও হতে পারে। আর চ্যালেঞ্জ করা হলে টিকে নাও থাকতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক সততা, গণতান্ত্রিক ও নৈতিক মূল্যবোধের দিক থেকে এই সাফল্য চিরদিন বিতর্কের বিষয় হয়ে থাকবে।’
গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ধারণা এবং অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সর্বোপরি অবাধ, উন্মুক্ত ও অবাধ প্রতিযোগিতার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের পূর্বশর্তের মতো জাতীয় আন্তর্জাতিক ভাল অনুশীলনের মূল উপাদানগুলো পূরণ করা হয়নি বলে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে।
তবে প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, 'নির্বাচন কমিশন কখনও সাংবিধানিক ও আইনগত বাধ্যবাধকতার নামে এবং কখনও নকশার মাধ্যমে একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে মূল অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনও একই ভূমিকা পালন করেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশে নির্বাচনী রাজনীতির সমান সুযোগ পাওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। কোনো অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও, যেখানে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে এবং তার নিজস্ব 'স্বতন্ত্র' এবং অন্যান্য অনুসারী দলের বিরুদ্ধে বানোয়াট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত হয়েছে। এর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং সহিংস শত্রুতা রয়েছে। যেটির সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শ বা জনস্বার্থের কোনও সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশ হয়: টিআইবি
প্রতিবেদনের শেষ অংশে বলা হয়, 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি যেমন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অশুভ অভিজ্ঞতা। তেমনি গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাসম্পন্ন দেশ ও জনগণকে কী করতে হবে এবং এড়ানো উচিত, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি কৌশল ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এটি একটি পাঠ হতে চলেছে।
৭১২ দিন আগে
বিএনপির চাওয়ায় দেশের অমঙ্গল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির অশুভ কামনায় বাংলাদেশের কোনো অমঙ্গল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, পূর্ব-পশ্চিম সবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। সবার সঙ্গে সম্পর্ককে আরও গভীর করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম এলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ড. হাছান মাহমুদ।
এরপর চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে বিমানবন্দরের বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল সংবর্ধনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
হাছান মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচন যে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে গ্রহণ করেছে, সেটির প্রমাণ হচ্ছে বহু নির্বাচনি পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই, আইআরআই, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত, সার্কভুক্ত, ওআইসিভক্ত ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা সবাই একযোগে মত প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম সহিংসতা হয়েছে। এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যবেক্ষক তথ্য-উপাত্তের জন্য নির্বাচন কমিশনে গেছে- এ বিষয়ে বক্তব্য ড. হাছান বলেন, আমাদের বিদেশি বন্ধুদের আমাদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনে গিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আজকে কাগজে দেখলাম, নির্বাচন কমিশন যেই তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে, এতে তারা সন্তুষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো ডিক্যাব
মন্ত্রী বলেন, বেশিরভাগ নিবন্ধিত দল এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে ভোটের পার্সেন্টেজ প্রায় ৪২ শতাংশ ছিল। যদি কুয়াশা ও শীত না থাকত তাহলে আরও বেশি ভোট পড়ত।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমরা তাদের সঙ্গে আরও এনগেজমেন্ট বাড়াচ্ছি, আমি ন্যাম সামিটে যাচ্ছি, সেখানে মায়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা কূটনৈতিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭১৩ দিন আগে
বঙ্গবন্ধুকন্যা আছেন বলেই দেশে সমৃদ্ধি ঘটছে: আরাফাত
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বলেই দেশে শান্তি বিরাজ করছে, সমৃদ্ধি ঘটছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৭ আসনের কালাচাঁদপুর সরকারি হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তার সম্মানে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের জায়গায় জায়গায় অশান্তি, যুদ্ধ-বিগ্রহের চিত্র আমরা টেলিভিশনে দেখি, খবরের পাতায় পড়ি। আমাদের দেশে গত ১৫ বছর ধরে শান্তি আছে, দেশ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের শান্তি বিনষ্টের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে এমন কি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে নির্মমভাবে নারী-শিশুসহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদেরকে রুখে দিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে: আরাফাত
তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের দেখানো ভয়-ভীতিতে মানুষ আতঙ্কিত হয়নি। শীতের সকালে ভোট দিতে গেছে।আমরা জরিপ করে দেখেছি, যে কোনো নির্বাচনী এলাকার ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ ভোটার এলাকায় থাকেন না। অর্থাৎ বাকি ৭৫ শতাংশের মধ্যে হিসাব করলে সারা দেশে গড়ে ৪২ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পড়েছে।’
এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এলাকার জনগণকে ধন্যবাদ জানান ও সুচারু দায়িত্বপালনে তাদের আশীর্বাদ কামনা করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিনসহ স্হানীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আরও পড়ুন: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হলেন আরাফাত
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
৭১৩ দিন আগে
ভোটার উপস্থিতি দেখেই জনগণের ইচ্ছা বোঝা যায়: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিদেশি প্রভুদের সহায়তায় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা মনে করেন, তিনি তার প্রভুদের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতায় থাকবেন। সেসব দিন শেষ হয়ে গেছে।’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে দেশের জনগণ 'বিজয়ের লক্ষণ' দেখিয়েছে। ‘আপনাদের (সরকারের) উচিত এর থেকে জনগণের চাওয়া বোঝা।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা করে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
আরও পড়ুন: আ. লীগের নতুন 'কৃষ্ণতম মেকি সরকার': রিজভী
রিজভী বলেন, জনগণ এখন আন্দোলনে নেমেছে এবং এই কর্মসূচি সফল করতে আগামী দিনগুলোতে তারা রাজপথে থাকবে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং স্বৈরাচারী নেতাদের উৎখাত করার ইতিহাস বাংলাদেশের রয়েছে উল্লেখ করে রিজভী ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ‘শেখ হাসিনার ভাগ্যও এর চেয়ে আলাদা হবে না। শেখ হাসিনার সরকারও ভেসে যাবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার পদ্মা সেতু ও ফ্লাইওভারকে উন্নয়নের নিদর্শন হিসেবে দেখছে, ‘যেখানে দরিদ্র মানুষ তাদের সন্তানদের নিজেদের ভরণপোষণের জন্য বিক্রি করে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, জনগণ আবার রাস্তায় নামবে, তাদের দাবি আদায় করবে এবং তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের একটি বক্তব্যের বিরোধিতা করায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র যেন 'কসমেটিক' না হয়।
আইনমন্ত্রী দাবি করেছেন, তুর্কির বক্তব্য পুরোপুরি ভুল তথ্য প্রাপ্তি থেকে হতে পারে।
তিনি বলেন, 'তিনি (হক) মিথ্যা বলতে পারেন বলেই আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী। তিনি যদি সত্য বলতে পারতেন, তাহলে আওয়ামী লীগ তাকে মন্ত্রী করত না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর শান্তিনগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় সেখানে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারাও ছিলেন।
আরও পড়ুন: দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: রিজভী
বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
৭১৪ দিন আগে