রাজনীতি
ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
আগামীকাল মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিকাল ৩টায় ফরিদপুর জেলা শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জনসভাকে ঘিরে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠের পূর্ব পাশে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ জানান, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সফরকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জেলা শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি জনসভায় আসা পুরুষ ও নারী সমর্থকদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া রাস্তার পাশে গাছ ও সমাবেশস্থল রঙ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগের টেলিগ্রাম চ্যানেল চালু
প্রায় ১ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন ইশতিয়াক।
এতে সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফরিদপুরের আরও তিনটি আসনের প্রার্থীরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর সফর করেন এবং একই স্থানে এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকরাও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৭২৭ দিন আগে
কুমারখালীতে পাঁচটি নির্বাচনী কার্যালয় অপসারণ, জরিমানা
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত কার্যালয় স্থাপন করায় কুষ্টিয়া ৪ ( কুমারখালী - খোকসা) আসনের নৌকা প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ ও ট্রাক মার্কার প্রার্থী আব্দুর রউফের সমর্থকদের সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও পাঁচটি অস্থায়ী কার্যালয় অপসারণ করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত উপজেলার চাপড়া, বাগুলাট ও চাদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট ও কুমারখালী সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত।
আমিরুল আরাফাত জানান, বিধি লঙ্ঘন করে প্রচার কার্যালয় খোলায় নৌকা ও ট্রাক মার্কা প্রতীকের সমর্থকদের পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও পাঁচটি কার্যালয় অপসারণ করা হয়।
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুষ্টিয়া ৪ ( কুমারখালী ও খোকসা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জের সঙ্গে তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ( ট্রাক) আব্দুর রউফের। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে এবং পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কুমারখালীতে দুই প্রার্থীর সর্বমোট ৪০টি নির্বাচনী কার্যালয় থাকার কথা। কিন্তু আচরণবিধি লঙ্ঘন ওই দুই প্রার্থী ও সমর্থকরা ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৫০টির বেশি কার্যালয় খুলে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে ওই দুই প্রার্থীর বেশ কয়েকটি অস্থায়ী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৭২৮ দিন আগে
নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকরাও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'সারাদেশে নির্বাচনের জোয়ার তৈরি হয়েছে এবং বিএনপির নেতা-কর্মীরাও এতে শামিল হয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এই নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে এবং তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।'
তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচন বানচাল করার জন্য এখন ঢাকা-চট্টগ্রাম শহরে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু এই লিফলেট কেউ দেখেও না, কেউ পড়েও না। বিএনপির যেসব নেতা লিফলেট বিতরণ করে, তারা হঠাৎ বিতরণ করে আবার হারিয়ে যায়। লিফলেট বিতরণকারীরা এখন ভয়ে আছে, জনগণ কখন তাদের ধাওয়া করে।'
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের রামগতিরহাটে নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। এ দিন তিনি বেতাগীর বড়ুয়াপাড়া, মির্জাখীল, বালুচর এলাকায় গণসংযোগকালে পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি-জামাত আগুন সন্ত্রাস করে, পেট্রোল বোমা মেরে, রেললাইন উপড়ে ফেলে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল, সেটি তারা করতে পারেনি। এখন চেষ্টা করছে কোনো কোনো প্রার্থীর ওপর হামলায় যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়। সেটিও কখনো সফল হবে না।'
আরও পড়ুন: অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে সমস্ত ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেই কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা আজকে গর্তের মধ্যে ঢুকে গেছে। বিএনপি গর্তের মধ্যে থেকে মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে প্রেস ব্রিফিং করে।'
'সেবা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধবসহ সবাইকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাই' বলেন ড. হাছান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মেয়র শাহজাহান সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার হোসেন বাবুল, ইদ্রিছ আজগর, শফিকুল ইসলাম, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আবছার তালুকদার, এম এ হান্নান চৌধুরী প্রমুখ গণসংযোগে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগের টেলিগ্রাম চ্যানেল চালু
৭২৮ দিন আগে
উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকারের পতনে বিএনপির সংকল্প অটুট
বিএনপি ২০২২ সালটি যেভাবে শেষ করেছিল ২০২৩ সালের শুরুটাও ছিল তেমন। দলটির নেতা-কর্মীরা রাজপথে সক্রিয় থেকে সারা দেশে নিয়মিত মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। দলটির সমর্থকরা আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করার এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ১৭ বছর পরে ক্ষমতায় ফিরে আসার উচ্চাশা জাগিয়ে তুলেছিল। তারা এও মনে করেছিল এটি কেবল একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনেই সম্ভব হতে পারে।
বিএনপি সারা বছর যা কিছু করেছে তার লক্ষ্য ছিল দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই ফলাফল অর্জন করা, যেখানে তারা অংশ নেওয়ার আশা করেছিল। কিন্তু যদি নির্বাচনটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় তবে তা নয়। কিছু প্রভাবশালী বিদেশি সরকার, বিশেষত ওয়াশিংটনে, তাদের লক্ষ্য অর্জনে দলের যাত্রায় আরও গতি বাড়াতে কাজ করেছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত বছরটি বিএনপির জন্য চরম হতাশায় শেষ হয়েছে। গত দুই মাসে তাদের কর্মকাণ্ডের উপর নতুন করে দমন-পীড়ন শুরু হয়েছে। যার ফলে তাদের প্রায় শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় সবাই হয় কারাগারে নয়তোবা পলাতক।
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসনের দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করতে ব্যর্থ হওয়ায় আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী বছরগুলোতে রাজনীতিতে ফিরে আসা এবং নেতা-কর্মীদের পুনরুজ্জীবিত করা বিএনপির জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে।
তারা আশঙ্কা করছেন দলটি আগামীতে চরম নেতৃত্ব সংকটের মুখোমুখি হবে। কারণ,বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী ইতোমধ্যে পূর্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং প্রায় ২৬ হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে গেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দলকে পুনর্গঠনের পাশাপাশি বিএনপিকে সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে আসতে হবে, যাতে তারা শান্তিপূর্ণভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
৭২৮ দিন আগে
চট্টগ্রাম-৪ আসনে সালাউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল, জরিমানা
সরকারি কর্মচারী হিসেবে চাকরিতে থাকার তথ্য গোপন করে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম নগরের আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আদালতের যে আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসির) করা আবেদনের শুনানি শেষে রবিবার(৩১ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে তার এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা সাত দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ডে কেয়ার সেন্টারে জমা দিতে বলেছেন আদালত।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরিরত সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসনে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন হাইকোর্ট
আজ নিবর্বাচন কমিশনের (ইসির) পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। আদালতে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হিসেবে ছিলেন আইনজীবী আবদুল হাই ভূঁইয়া।
আইনজীবী শামীম আজিজ জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন সালাউদ্দিন। তবে ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে অসঙ্গতি থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি ইসিতে আপিল করলে তা নামঞ্জুর হয়।
পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করলে সেটিও খারিজ হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সালাউদ্দিন। শুনানি নিয়ে ২১ ডিসেম্বর চেম্বার আদালত তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ২৭ ডিসেম্বর ইসি আবেদন করে। ২৮ ডিসেম্বর আবেদনটি চেম্বার আদালতে ওঠে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসনে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন হাইকোর্ট
আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ বলেন, সালাউদ্দিন স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ২০১২ সাল থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করে আসছেন। অথচ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের ব্যক্তিগত তথ্যে তিনি পেশা ব্যবসা (ওষুধ) উল্লেখ করেছেন। হলফনামায়ও পেশা ব্যবসা (ওষুধ) বলে উল্লেখ করেছেন। সালাউদ্দিন যে সরকারি চাকরিজীবী, তা তিনি গোপন করেছেন। এমনকি ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার তালিকায় তার (সালাউদ্দিন) নাম রয়েছে বলে গণমাধ্যমে এসেছে। সংবিধান ও সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।
২৮ ডিসেম্বর সালাউদ্দিনের পক্ষে আবেদন দায়েরকারী অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আবদুল হাই ভূঁইয়া আদালতে উপস্থিত হয়ে এক দিন সময়ের আরজি জানান। আদালত এক দিন সময় মঞ্জুর করেন। আবদুল হাইকে অভিযোগের বিষয়ে সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন আদালত। এর ধারাবাহিকতায় আজ ফের বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। আজ অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আবদুল হাই ভূঁইয়া বলেন, তার মক্কেলের পক্ষ থেকে তাকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। পরে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।
আরও পড়ুন:বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
৭২৮ দিন আগে
নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগের টেলিগ্রাম চ্যানেল চালু
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তথ্য প্রচারের জন্য বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল চালু করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এই চ্যানেলে নিয়মিত আপডেট করা হবে। 'ডিজিটাল বাংলাদেশ'-এর রূপকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এর অঙ্গীকার পূরণে আওয়ামী লীগের শাসন ব্যবস্থা ও দলীয় কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করার বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
টেলিগ্রাম চ্যানেলের লিংকটি https://t.me/albd1949 দলের অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে এটি সাবস্ক্রাইব করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্লোগানে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসা আওয়ামী লীগ এবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের।
দলটি ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় উপস্থিতি বজায় রাখে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই যোগাযোগে যুক্ত হলো জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন টেলিগ্রাম।
৭২৮ দিন আগে
অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
নির্বাচন বিরোধী অপতৎপরতার জবাব দিতে ৭ জানুয়ারি দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাটে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘আজকে বিএনপি কোনো প্রার্থী ও নামী কোনো নেতাকে হত্যার জন্য কিলিং এজেন্ট তৈরি করছে। লন্ডন থেকে নির্দেশ আসছে। তারেক রহমানের সাহস নেই, থাকলে দেশে আসুক।’
আরও পড়ুন: এখন ব্যবস্থা না নেওয়া গেলেও নির্বাচনের পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: কাদের
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ও ৩ নভেম্বর জেলহত্যার কথা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে এবং সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের আদর্শের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অস্ত্রবাজি, গোলাবাজিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের অস্ত্র জনগণ।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হবেন।
কাদের বলেন, ‘বিদেশি শক্তি নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দিলে আমরা শুনব, কিন্তু বিএনপির সুরে উসকানি দিলে মেনে নিব না।’
তিনি বলেন, বরিশালে শেখ হাসিনার জনসভা এটাই প্রমাণ করে- এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে। এই নির্বাচন বাধা দিয়ে ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে: কাদের
নির্বাচনে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান কাদেরের
৭২৯ দিন আগে
নাটোর-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হামলার অভিযোগ
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কচুগাড়ি গ্রামে নাটোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ শোভনের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৩০) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ৭টি মোটরসাইকেল। হামলার জন্য নৌকার সমর্থকদের দায়ী করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বরাইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শোভনের ব্যক্তিগত সহকারী ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের সাবক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ওই এলাকায় একটি ইসলামী জলসায় গণসংযোগ শেষে শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কচুগাড়ি এলাকায় নৌকার শ্লোগান দিয়ে হাতুড়ি, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আচমকা তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।’
ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে বলে জানান বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব।
আরও পড়ুন: নাটোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর
রাজশাহী-১ আসনে কাঁচি প্রতীককে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী
৭২৯ দিন আগে
রাজশাহী-১ আসনে কাঁচি প্রতীককে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান আক্তার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
একইসঙ্গে এসময় তিনি আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানীকে (কাঁচি প্রতীক) সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সময় গোলাম রাব্বানী তার পাশেই ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আক্তারুজ্জামান বলেন, আমার ও রাব্বানী ভাইয়ের আদর্শ ও উদ্দেশ্য এক হওয়ার জন্য আমি নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে তার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা অবশ্যই ৭ তারিখে ভোট দিয়ে গোলাম রাব্বানীকে জয়যুক্ত করব।
তিনি আরও বলেন, ওমর ফারুকমুক্ত গোদাগাড়ী চাইলে সব স্বতন্ত্র প্রার্থীর একসঙ্গে গোলাম রাব্বানী ভাইকে সমর্থন দিয়ে কাজ করা উচিত।
এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি আক্তার ভাইয়ের থেকে সুযোগ চেয়েছি, তিনি আমাকে সমর্থন ও সম্মান দিয়েছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করব, ৭ তারিখে আমাদের জয় হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তার জাহান ডালিয়াকেও আমাকে সমর্থন দিয়ে আমার পক্ষে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছি। আশা করছি উনিও নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়ে আমাকে সমর্থন দিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন এবং আগামী দিনে আমাদের জয় হবে।
উল্লেখ্য, তানোর -গোদাগাড়ী আসনের সংসদ নির্বাচনে এবার ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৭২৯ দিন আগে
ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততাহীন আন্দোলনের জবাব দেবে জনগণ: পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা বলেন, দেশের যেকোনো জাতীয় সংকটে পেশাজীবীরা অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক চক্রও তৎপর রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত অযৌক্তিক ও জনসম্পৃক্ততাহীন আন্দোলনের নামে যে আগুন সন্ত্রাস করছে, নিরীহ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে, জণগণ তা ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জবাব দেবে।
তারা বলেন, আগামীতে যেনো বিএনপি-জামায়াত কোনো নাশকতা চালাতে না পারে সেজন্যই, পেশাজীবীসহ দেশের আপামর জনগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের পর বিরোধীরা নানা অপতৎপরতা চালাতে পারে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর রমনায় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা বিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার মাধ্যমে দেশে অর্থবহ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় 'নির্বাচন-গণতন্ত্র-নাশকতা' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এইসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বক্তারা আরও বলেন, বিএনপি-জামায়ত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় বলেই দেশে অগ্নি সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে সংসদ নির্বাচন বাণ চালের অপপ্রচার করছে।জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারক ও বাহক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় অতীতের ন্যায় দেশের জনগণের পাশে ছিল ভবিষ্যতে থাকবে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর)আইইবির কাউন্সিল হলে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য দেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন শীবলু।
সভায় আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, গোলাম কুদ্দুস,অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, ম. হামিদ, ড.অধ্যাপক হান্নানা বেগম, ডা. রোকেয়া সুলতানা, ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হুদা, অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল, অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত,অ্যাডভোকেট আবদুল নূর দুলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, সোহেল হায়দার চৌধুরী, কৃষিবিদ খাইরুল আলম প্রিন্সসহ দেশের বরেণ্য পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা।
আলোচনা সভা শেষে দেশের বরেণ্য পেশাজীবী- বুদ্ধিজীবী নাগরিকদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের জাতীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতারা আইইবি সদর দপ্তরের সামনে থেকে শাহবাগ অভিমুখে র্যালি বের করেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করে, বিএনপি মানুষ পোড়ায়: তথ্যমন্ত্রী
৭২৯ দিন আগে