খেলাধুলা
আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কলম্বিয়ার মধুর প্রতিশোধ
লাতিন আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন, সেইসঙ্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও। তবে ম্যাচজুড়ে নিজেদের ছায়া হয়ে রইল আর্জেন্টিনা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের শোধ তুলল কলম্বিয়া।
কলম্বিয়ার এস্তাদিও মেত্রোপলিতানো রবের্তো মেলেন্দেসে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া।
ম্যাচের ২৫তম মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন ডিফেন্ডার ইয়ের্সন মসকেরা। এরপর বিরতির পরপরই দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনাকে সমতায় ফেরান নিকোলাস গন্সালেস। তবে ম্যাচের ৬০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেন হামেস রদ্রিগেস।
এই ম্যাচে একটি করে গোল ও অ্যাসিস্টে সবশেষ ৮ ম্যাচে ১০ গোলে অবদান (৭ অ্যাসিস্ট ও ৩ গোল) রাখলেন ৩৩ বছর বয়সী এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: লা লিগায় ফিরলেন হামেস রদ্রিগেস
এর ফলে ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারের তেতো স্বাদ পেলেন লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। সবশেষ তারা হারে গত নভেম্বরে, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচেই উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে। তার পরের ১২ ম্যাচের মধ্যে ১১টিই জিতেছে আর্জেন্টিনা, ড্র করেছে মাত্র একটি ম্যাচে।
তাছাড়া ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় হার এটি।
৪৭৪ দিন আগে
জোড়া গোলে শততম ম্যাচ রাঙালেন কেইন
ইংল্যান্ডের জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলতে নেমে অসাধারণ হ্যারি কেইনে মাতল ইংলিশ সমর্থকরা। ম্যাচজুড়ে অসাধারণ পারফর্ম করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেন ইংলিশ অধিনায়ক।
নেশন্স লিগের ‘বি’ লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের দুটি গোলই করেছেন হ্যারি কেইন।
এদিন ম্যাচ শুরুর আগে শত ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ উপলক্ষে কেইনকে বিশেষ সম্মাননা জানায় ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ম্যাচে নেমেই জোড়া গোল করেন এই তারকা স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু
গোল পেতে এদিন মুখিয়ে থাকলেও বারবার হতাশ হতে হয়েছে কেইনকে। ম্যাচের ২১তম মিনিটে অসাধারণ দক্ষতায় কেইনের নিশ্চিত একটি গোল ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ফিনিশ গোলরক্ষক লুকাশ রাদাস্তকি। তার দুই মিনিট পর জালে বল পাঠান ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড, কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়ে সে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
ফলে স্কোরলাইন গোলশূন্য রেখে বিরতিতে যায় দুই দল।
৪৭৪ দিন আগে
নতি স্বীকার করল না উড়তে থাকা দুই দলের কেউ
উয়েফা নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের তৃতীয় গ্রুপে উড়ন্ত শুরু করে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস। জার্মানি হাঙ্গেরিকে ৫-০ ব্যবধানে এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাকে ৫-২ ব্যবধানে হারিয়ে নেশন্স লিগের নিজেদের যাত্রা শুরু করে নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় রাউন্ডে এই দুই দল মুখোমুখি হওয়ায় এদের মধ্যে কে সেরা, তা দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবল বিশ্ব। তবে কেউ কারো কাছে নতি স্বীকার না করায় দর্শকদের অপেক্ষা আরও বেড়েছে।
অ্যামস্টারডামের ইয়োহান ক্রইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে নেদারল্যান্ডস ও জার্মানির মধ্যকার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।
ম্যাচের শুরুতেই তিজানি রেইন্ডার্সের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৮তম মিনিট ও প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে যথাক্রমে ডেসিন উনডাভ ও ইয়োশুয়া কিমিখের গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। তবে বিরতি থেকে ফিরেই দলকে সমতায় ফেরান ডাচ উইংব্যাক ডেনসেল ডুমফ্রিস। এরপর আর কোনো গোল না হলে সমতাতেই শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশিরভাগ সময় ডাচরা কোণঠাসা হয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের মেলে ধরে রোনাল্ড কুমানের দল। বল দখলেরও লড়াইয়েও দুই দল একে অপরের চেয়ে খুব বেশি এগিয়ে-পিছিয়ে ছিল না; জার্মানির ৫৭ শতাংশ সময়ে বিপরীতে নেদারল্যান্ডসের পায়ে বল ছিল ৪৩ শতাংশ সময়।
এছাড়া ম্যাচজুড়ে জার্মানির ১৯ শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল, যেখানে নেদারল্যান্ডনের ১১ শটের লক্ষ্যে ছিল চারটি।
আরও পড়ুন: বড় জয়ে ডাচদের নেশন্স লিগ অভিযান শুরু
এদিন ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় মিনিটে রায়ান গ্রাভেনবার্খের বাড়ানো পাস ধরে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিজানি রেইন্ডার্স।
অষ্টম মিনিটে মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের লং পাস দেখে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যান ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস। তবে এগিয়ে এসে কোনোরকমে বুক দিয়ে ঠেকিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন ডাচ গোলরক্ষক বার্ট ভেরব্রুখেন।
এরপর বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে একের পর এক গোলের সুযোগ খুঁজতে থাকে জার্মানি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একাদশ মিনিটে ভিয়ার্টসের পাস ধরে প্রতিপক্ষের বক্সের ঢুকেই ডান পাশ থেকে জোরালো শট নেন কাই হাভার্টস, তবে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে শটটি প্রতিহত করেন ভেরব্রুখেন।
পঞ্চদশ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে আসা ক্রসে ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করে ফেলেছিলেন ডেনসেল ডুমফ্রিস। তবে তার জোরালো হেডারটি পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে বেরিয়ে গেলে হতাশ হন তিনি।
৪৭৪ দিন আগে
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে চীনে ৪৩ ফুটবলার-কর্মকর্তা আজীবন নিষিদ্ধ
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দুই বছর তদন্তের পর ৩৮ ফুটবলার ও পাঁচ ক্লাব কর্মকর্তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে চীনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (সিএফএ)।
সিএফএ সভাপতির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) চীনের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ক্রীড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
দালিয়ানে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ঝাং শিয়াওপেং বলেন, তদন্তে ১২০টি ম্যাচ পাতানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় ৪১টি ফুটবল ক্লাব জড়িত ছিল।
তবে সবগুলো ম্যাচ চীনে হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
পাশাপাশি সাবেক চার ক্রিকেটারকেও আজীবন নিষিদ্ধ করেছে চীন। ওই চার ক্রিকেটার হলেন- চীনের জিন জিংদাও, গুও তিয়ানিউ ও গু চাও এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সন জুন-হো। ১০ মাস আটক থাকার পর গত মার্চে মুক্তি পেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যান সন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ: ব্রাজিল পুলিশের তদন্তে নির্দোষ আন্তোনি
অবশ্য শাস্তি পাওয়া খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে এখনও কেউ প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে ঝ্যাং বলেন, ৪৪ জনকে ঘুষ, জুয়া ও অবৈধভাবে ক্যাসিনো খোলার কারণে ফৌজদারি শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এছাড়া আরও ১৭ জন ঘুষ ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
সিএফএ সভাপতি সং কাই জানান, ৪৪ জনের মধ্যে ৪৩ জনকে ফুটবল সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আরও ১৭ জনকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত সপ্তাহে জাপানের কাছে ৭-০ গোলে হারের পর মঙ্গলবার দালিয়ানে সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতিতে জর্জরিত চীনের ফুটবল। স্থানীয় ভক্তরা জাতীয় দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণেই খেলাটির এই অবস্থা বলে মনে করে থাকেন।
আরও পড়ুন: শাস্তি পেতে পারেন বেলিংহ্যাম
সম্প্রতি ফুটবল-সম্পর্কিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছে চীন। আগস্টে ঘুষ গ্রহণের জন্য দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক সাবেক সহ-সভাপতিকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রতিযোগিতা বিভাগের সাবেক পরিচালককে একই অপরাধের জন্য সে সময় সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটি।
এর আগে, চলতি বছরের মার্চে সিএফএর সাবেক এক চেয়ারম্যানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় চীনের আদালত।
৪৭৪ দিন আগে
বেলজিয়ামকে হারিয়ে প্রথম জয় পেল ফ্রান্স
দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েও ইতালির কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে নেশন্স লিগ শুরু করে ফ্রান্স। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ে ফিরেছে দিদিয়ের দেশমের দল।
নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচে সোমবার রাতে নিজেদের মাঠে বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ২০২০-২১ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে নেন ফ্রান্সের পিএসজি স্ট্রাইকার রান্দাল কোলো মুয়ানি, এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান কোলো মুয়ানির ক্লাব সতীর্থ উসমান দেম্বেলে।
প্রথম ম্যাচে বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও সুযোগ তৈরিতে নিষ্প্রভ ছিল ফ্রান্সের আক্রমণভাগ। তবে এদিন বলের দখল কম থাকলেও দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়েছেন এমবাপ্পে-গ্রিজমানরা।
আরও পড়ুন: দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েও ইতালিতে বিধ্বস্ত ফ্রান্স
৫৫ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে মোট ৯টি আক্রমণ শানায় বেলজিয়াম, যার চারটি ছিল লক্ষ্যে। সেখানে ৪৫ শতাংশ সময় বল নিয়ন্ত্রণে রেখেও ২৫টি আক্রমণ চালায় ফ্রান্স। এর মধ্যে ৯ শট লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা।
এই জয়ে বেলজিয়ামের সমান ৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠেছে ফ্রান্স। আর পয়েন্ট (৩) ও গোল ব্যবধান একই (শূন্য) থাকার পরও ফ্রান্সের কাছে হেরে তিনে বেলজিয়াম। দিনের অন্য ম্যাচে ইসরায়েলকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ইতালি।
এর ফলে দ্বিতীয় গ্রুপের দুই রাউরন্ডের খেলা শেষ হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর গ্রুপের অপর দল ইসরায়েলের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামকে আতিথ্য দেবে ইতালি। এর চার দিন পর ফিরতি লেগে ফ্রান্সকে আতিথ্য দেবে বেলজিয়াম এবং ঘরের মাঠে ইসরায়েলের মুখোমুখি হবে ইতালি।
পরের মাসে বাকি দুই রাউন্ডের ম্যাচের মাধ্যমে নেশন্স লিগের গ্রুপপর্বের খেলা শেষ হবে।
আরও পড়ুন: প্রায় পুরো ম্যাচ ১০ জনে খেলা স্পেনে বিধ্বস্ত সুইজারল্যান্ড
৪৭৪ দিন আগে
ভারত সফরে বাংলাদেশের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না সৌরভ
প্রায় দুই যুগ আগে অভিষেক টেস্ট থেকে শুরু করে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাফল্যের খাতা এখনও ফাঁকা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ১৩ বারের দেখায় ১১ বারই হারের তেতো স্বাদ নিতে হয়েছে টাইগারদের; বাকি দুটি ম্যাচ বৃষ্টির সৌজন্যে হয়েছে ড্র। আসন্ন সিরিজেও স্পষ্টই এগিয়ে থাকবে ভারত।
তবে অতীত যাই হোক, সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেট বাংলাদেশের ভালো পারফরম্যান্স ভারত সিরিজ থেকে প্রাপ্তির খাতায় কিছুটা হলেও দাগ কাটার আশা জাগিয়েছে।
পাকিস্তানের মাটিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ জিতে ভারত সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর দলটি ভারতের বিপক্ষেও এবার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের কণ্ঠেও সম্প্রতি ঝরেছে এমন আশা। তবে ভারত সফরে বাংলাদেশের তেমন কোনো আশা দেখছেন না দেশটির সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী।
আরও পড়ুন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা চারে উঠে এল বাংলাদেশ
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানে গিয়ে তাদের হারিয়ে আসা চাট্টিখানি কথা নয়। সেজন্য বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন। কিন্তু ভারতীয় দল সম্পূর্ণ আলাদা। ভারত দেশে এবং বিদেশে, দুই জায়গাতেই ভালো খেলছে। এছাড়া ভারতের ব্যাটিং ইউনিটও বেশ শক্তিশালী। সে কারণেই আমার মনে হয় না যে বাংলাদেশ এখানে জিততে পারবে।’
ভারতই সিরিজ জিতবে বলে মনে করেন বিসিসিআইয়ের সাবেক প্রধান। তবে বাংলাদেশ যে স্বাগতিকদের ছেড়ে কথা বলবে না, সে কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি।
‘কিন্তু ভারতের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলবে। কারণ, পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে এই সিরিজটি খেলতে আসছে তারা।’
এসময় বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের হোয়াইটওয়াশ হওয়ার বিষয়েও কথা বলেছেন সৌরভ। তার কথায়, ‘আমি দেশটিতে প্রতিভার অভাব দেখতে পাচ্ছি। পাকিস্তানকে নিয়ে যখনই ভাবি, আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে মিয়াঁদাদ, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, সঈদ আনোয়ার, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইউননুস খানরা। কিন্তু তেমন প্রতিভা বর্তমান পাকিস্তান দলে নেই।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
সৌরভ বলেন, ‘প্রত্যেক প্রজন্মেই ভালো ক্রিকেটার থাকা দরকার। তবে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও তারপর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওদের যে পারফরম্যান্স দেখলাম, তা থেকেই বোঝা যায় যে দেশটি থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসছে না।’
পাকিস্তানের খেলার জগতের মানুষদের এ অবস্থার দিকে নজর দিতে হবে বলে মনে করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এ অধিনায়ক।
প্রসঙ্গত, দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে ভারত সফর করবে বাংলাদেশ। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট ম্যাচ মাঠে গড়াবে। এরপর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কানপুরে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে।
৪৭৪ দিন আগে
প্রায় পুরো ম্যাচ ১০ জনে খেলা স্পেনে বিধ্বস্ত সুইজারল্যান্ড
স্পেন কেন বর্তমানে ইউরোপের সেরা দল, আজ তার সবচেয়ে পরিষ্কার প্রমাণ দেখল বিশ্ব। ম্যাচের ৭০ মিনিটের বেশি সময় দশ খেলোয়াড় নিয়ে খেলে, রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে কোনোমতে প্রতিপক্ষকে ঠেকিয়ে, চকিতে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা সুইজারল্যান্ডের ঘরের মাঠ থেকে ৪-১ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
জেনেভায় নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের চতুর্থ গ্রুপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে রবিবার রাতে স্বাগতিক সুইসদের বিপক্ষে বড় জয়ে নকআউটে যাওয়ার পথে ফিরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দলের হয়ে মাঝের দুটি গোল করেন মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস এবং বাকি গোলদুটি থেকে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড হোসেলু এবং শেষেরটি বার্সেলোনা স্ট্রাইকার ফেররান তোরেস। অপরদিকে, সুইসদের একমাত্র গোলটি করেন জেকি আমদুনি।
প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর এদিন পুরোনো ধ্বংসাত্মক চেহারায় ফেরে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ চালাতে থাকে তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় স্পেন এবং দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেই গোল পেয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: সার্বিয়ার ‘রক্ষণ দুর্গ’ ভাঙতে ব্যর্থ চ্যাম্পিয়নরা
পাল্টা আক্রমণে উঠে বক্সের ভেতর থেকে শট নিলে হোসেলুর সেই শট ঠেকিয়ে কর্নারে পরিণত করেন ইয়ান জমারের অবসরের কারণে সুইসদের গোলপোস্ট সামলানো গ্রেগর কোবেল। এরপর শর্ট কর্নারের পর ডান দিক থেকে প্রতিপেক্ষর একাধিক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে ভেতরে ঢুকে গোলমুখে ক্রস দেন লামিন ইয়ামাল। সেখান থেকে হেডারে বল লক্ষ্যে পাঠান হোসেলু। শূন্যে ভাসা অবস্থায় কোবেল বল ক্লিয়ার করলেও ভিএআর রিভিউতে দেখা যায় ততক্ষণে গোললাইন অতিক্রম করেছে বল। ফলে গোল পেয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় স্পেন।
চার মিনিট পরই অবশ্য চমৎকার এক পাল্টা আক্রমণে উঠে সমতায় ফেরে সুইজারল্যান্ড। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। বাঁ পাশ ধরে উঠে গিয়ে গোলমুখে ক্রস দেন ব্রাইল এম্বলো, কিন্তু বেসির ওমেরাজিক বল জালে পাঠালেও ভিএআর রিভিউতে দেখা যায়, অফসাইড ছিলেন তিনি।
ত্রয়োদশ মিনিটে লামিন ইয়ামালের নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়ায় স্পেন। নিজেদের অর্ধ থেকে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে চ্যালেঞ্জ করে বল কেড়ে নেন ১৭ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান তরুণ। এরপর দ্রুতগতিতে বল নিয়ে উঠে গিয়ে বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে তারই সঙ্গে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসা নিকো উইলিয়ামসকে পাস বাড়ান লামিন। নিকো সেখান থেকে এক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে গোলে শট নিলেও তার প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন কোবেল। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকলে যা হয়; বল এসে পড়ে ছয় বক্সের বাইরে থাকা ফাবিয়ান রুইসের সামনে। সময় নষ্ট না করে সেখান থেকে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
৪৭৬ দিন আগে
শেষ মুহূর্তের গোলে ভুটানের বিপক্ষে হারল বাংলাদেশ
ভুটান সফরের আগে ‘দুই ম্যাচই জিততে চাই’ বলে কোচ থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের কণ্ঠে প্রত্যয় ঝরলেও সেই লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জেতার পর দ্বিতীয় ম্যাচটি হেরে দেশে ফিরতে হচ্ছে হাভিয়ের কাবরেরার দলকে।
থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে রবিবার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম প্রীতি ম্যাচটি একই ব্যবধানে জিতেছিল সফরকারীরা।
এদিন দুটি পরিবর্তন এনে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ। প্রথম ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া রাকিব হোসেনের জায়গায় আক্রমণভাগে শাহরিয়ার ইমন এবং অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের জায়গায় ইসা ফয়সালকে মাঠে নামান কাবরেরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে চেপে ধরে ভুটান, তবে রক্ষণে তপু বর্মন ও ইসা সক্রিয় থাকায় গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি ভুটানের আক্রমণভাগ।
আরও পড়ুন: গোলশূন্য ড্র করে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন সুয়ারেস
ছন্দহীন মাঝমাঠ এবং ভোঁতা আক্রমণ নিয়েও এদিন নির্ধারিত ৯০ মিনিট ম্যাচটি গোলশূন্য রাখতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। তবে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেন ভুটানের কিংমা ওয়াংচুক। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি সফরকারীরা।
এর ফলে ২০১৬ সালের পর ভুটানের মাঠে প্রথম হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। হেড-টু-হেডে ১৬ ম্যাচে এখন বাংলাদেশের জয় ১২টি, ভুটানের ২টি, আর বাকি দুই ম্যাচ ড্র হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী বছরের এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাইয়ের ড্রয়ে তিন নম্বর প্লটে থাকার লক্ষ্যে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে ভুটান সফরে যায় বাংলাদেশ। সফরকালে দুটি প্রীতি ম্যাচই জিততে চেয়েছিল তারা, কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে সেই লক্ষ্যের শতভাগ পূরণ করা হলো না।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
৪৭৬ দিন আগে
রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গুঞ্জনে জল ঢাললেন মুসিয়ালা
শিরোপাহীন গত মৌসুম কাটনোর পর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে গড়িমসি করায় জামাল মুসিয়ালার রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গুঞ্জন চাউর হয়। তবে সব গুঞ্জনে জল ঢেলে তিনি জানিয়েছেন, এখনই বায়ার্ন ছাড়ার পরিকল্পনা নেই তার।
অসাধারণ খেলায় বয়সভিত্তিক ফুটবল থেকেই মুসিয়ালাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু হয়ে যায়। শুরুতে ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেললেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে জার্মানির হয়ে নাম লেখান ২১ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান উইঙ্গার।
পেশাদার ফুটবলে মাত্র ১৭ বছর ১১৫ দিন বয়সে অভিষিক্ত হয়ে বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তারপর থেকে নিজের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ক্রমেই উপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ। তাই দলবদলের মৌসুম এলেই তাকে ঘিরে গুঞ্জন ডালপালা মেলতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: মৌসুমের শুরুতেই বেলিংহ্যামকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ
বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ রয়েছে মুসিয়ালার। তাকে আলিয়ান্স আরেনায় থিতু করতে এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছে বাভারিয়ান ক্লাবটি। চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে জামালের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান ক্লাবটির কর্তারা। তবে আলোচনায় বসতে দেরি করছেন এই অ্যাটাকার।
আসলে নতুন মৌসুমে ক্লাবের প্রজেক্ট, বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের পারফরম্যান্স- এসব বিবেচনায় নিয়েই মূলত ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি।
এরই মধ্যে গুঞ্জন ওঠে, তার ওপর নজর পড়েছে নতুন দিনের গ্যালাক্টিকো তৈরির চেষ্টায় থাকা রিয়াল মাদ্রিদের। আর এই কাজে সহায়তা করছে ইংলিশ ফুটবল খেলার সময় জামালের তৎকালীন সতীর্থ জুড বেলিংহ্যাম।
তবে সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন আসতেই ডালপালাসহ গুঞ্জনটি উপড়ে ফেলেছেন মুসিয়ালা।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
জার্মান দৈনিক ভেল্ট আম জনটাগকে তিনি বলেছেন, ‘বায়ার্নে আমি খুবই সুখে আছি। এখানে আমার পরবর্তী লক্ষ্যগুলো পূরণেই আপাতত কাজ করছি। বেলিংহ্যামের মতো বিদেশের ক্লাবে খেলব কি না, তা নিয়ে এখন ভাবছি না।’
‘আগামী পাঁচ বছরে আমি কোথায় থাকব, তা নিয়ে ভাবার সময় এখন নয়। ফুটবলে যে কোনোকিছুই দ্রুত বদলে যেতে পারে।’
উয়েফা নেশন্স লিগের গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন মুসিয়ালা। শনিবার রাতে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয়ের ম্যাচে একটি গোল ও অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করে আরও একবার নিজের প্রতিভা ও সামর্থ্যের সাক্ষর রেখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিশোধের ম্যাচে হাঙ্গেরির জালে জার্মানির গোল উৎসব
৪৭৬ দিন আগে
মৌসুমের সর্বকনিষ্ঠ স্কোয়াড বার্সেলোনার
আর্থিক সংকটে জর্জরিত হওয়ায় গত কয়েক মৌসুম ধরেই দলবদলের মৌসুমে ভুগছে বার্সেলোনা। নতুন কোনো তারকা ফুটবলার তো কিনতে পারছেই না, বরং অভিজ্ঞদের অনেককেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে ক্লাবটি।
সবশেষ দলবদলের মৌসুমে গত মৌসুমে দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ইলকাই গুন্ডোগানকে ফ্রিতে ছেড়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে আইনে আয় ও খরচ ১:১ অনুপাতে ফেরাতেই সেরা খেলোয়াড় হলেও সর্বাধিক বেতন পাওয়া গুন্ডোগানকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ক্লাবটি। এমনকি আসন্ন শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের মতো ফুটবলারের জন্যেও তারা প্রস্তাব শুনতে চায় বলে গুঞ্জন রয়েছে। দলের এমন দুর্দশায় আরও একবার তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে লা মাসিয়ার ওপর।
নিজেদের এই অ্যাকাডেমির তরুণ সব ফুটবলারদের মূল দলে খেলার সুযোগ দিয়েই গত কয়েক মৌসুম ধরে ঘরোয়া ও ইউরোপীয় অঙ্গনে প্রতিযোগিতা করে চলেছে দলটি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা থেকে আবারও সিটিতে গুন্ডোগান
বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে চুক্তি শেষ করে, ধারে বা ফ্রিতে ছেড়ে দিয়ে মাত্র একজন খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে তারা। ৬০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে লাইপসিগ থেকে দানি অলমোকে দলে ভেড়ালেও লা লিগায় নিবন্ধন করাতে ঘাম ছুটে গেছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে মার্ক বের্নাল, পাউ ভিক্তর, আলেক্স ভায়ের মতো তরুণদের লা মাসিয়া থেকে মূল দলে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে ক্লাবটির স্পোর্টিং বিভাগের কর্তারা।
আর এসব কারণে চলতি মৌসুমে লা লিগার ক্লাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী স্কোয়াড এখন কাতালুনিয়ার এই ক্লাবটির।
৩৬ বছর বয়সী রবের্ট লেভানডোভস্কি থাকলেও বার্সেলোনার স্কোয়াডের গড় বয়স ২৪.১ বছর। সর্বকনিষ্ঠ স্কোয়াডের দিক থেকে লা লিগায় তাদের পরেই রয়েছে রিয়াল সোসিয়েদাদ ও ভালেন্সিয়া, উভয় ক্লাবেরই স্কোয়াডের গড় বয়স ২৫ বছর। ২৬.৫ বছর গড় বয়স নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিক, ৭-০ ব্যবধানে জিতল বার্সেলোনা
তবে সবচেয়ে বেশি বয়সী স্কোয়াডের কাতারে রয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ক্লাবটির স্কোয়াডের গড় বয়স ২৮.১ বছর। তাদের চেয়ে বেশি বয়সী স্কোয়াড আছে শুধু একটি ক্লাবের। চলতি মৌসুমে ২৯.৩ বছর গড় বয়স নিয়ে সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্কোয়াড রায়ো ভায়েকানোর।
তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে, এত এত ছোট ছোট ফুটবলার দিয়ে খেলিয়েও চলতি মৌসুমের শুরুটা সবচেয়ে ভালোভাবে করেছেন বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার এক দারুণ মিশ্রণে মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচেই জয় পাওয়া একমাত্র দল তারই।
৪৭৬ দিন আগে