খেলাধুলা
জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকিতে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বাংলাদেশ দল
জুনিয়র এএইচএফ কাপ (অনূর্ধ্ব-২১) হকি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করছে ৪৫ সদস্যের বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী জুনিয়র হকি দল।
বুধবার (১২ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটযোগে টুর্নামেন্ট জেতার স্বপ্ন নিয়ে উড়াল দেবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ পুরুষ হকি দল ও নতুন যুক্ত হওয়া বাংলাদেশ নারী হকি দল।
টুর্নামেন্টটি জুনিয়র এশিয়া কাপ ২০২৪-এর বাছাইপর্ব হিসেবেও বিবেচিত হবে।
'এ' গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া ও স্বাগতিক সিঙ্গাপুর এবং পুল 'বি'তে রয়েছে ওমান, চাইনিজ তাইপে, চীন, হংকং (চীন), ইরান ও কাজাখস্তান।
দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
প্রথম দুই দিন বিরতির পর রবিবার (১৬ জুন) স্বাগতিক সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।
বাকি ম্যাচগুলোতে ১৭ জুন শ্রীলঙ্কা, ১৯ জুন থাইল্যান্ড ও ২০ জুন ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
নারীদের টুর্নামেন্টে ৭টি দল লীগভিত্তিক ম্যাচ খেলবে- চাইনিজ তাইপে, হংকং (চীন), থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং স্বাগতিক সিঙ্গাপুর।
এর মধ্যে শীর্ষ জয়ী দল হবে চ্যাম্পিয়ন।
১৫ জুন থাইল্যান্ড, ১৬ জুন হংকং (চীন), ১৮ জুন শ্রীলঙ্কা, ১৯ জুন চাইনিজ তাইপে, ২২ জুন ইন্দোনেশিয়া ও ২৩ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ নারী দল।
পুরুষদের জুনিয়র এএইচএফ কাপে ভারত, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং পাকিস্তান বাদে সব এএইচএফ সদস্য জাতীয় অ্যাসোসিয়েশন থেকে এন্ট্রি নিবে।
এই দেশগুলো পুরুষদের জুনিয়র এশিয়া কাপ ২০২৩-এ তাদের চূড়ান্ত র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে পুরুষদের জুনিয়র এশিয়া কাপ ২০২৪-এ অংশগ্রহণের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে।
অন্যদিকে নারীদের জুনিয়র এএইচএফ কাপের জন্য পাঁচটি দেশ - চীন, ভারত, জাপান, কোরিয়া এবং মালয়েশিয়া বাদে সব এএইচএফ সদস্য দেশগুলো জাতীয় অ্যাসোসিয়েশন থেকে এন্ট্রি নিবে।
পুরুষদের টুর্নামেন্টের মতো, এই পাঁচটি দেশ জুনিয়র এশিয়া কাপ ২০২৩-এ তাদের চূড়ান্ত র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে জুনিয়র এশিয়া কাপ ২০২৪-এ অংশগ্রহণের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে।
৫৬৪ দিন আগে
সুপার এইটের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র
কানাডাকে হারিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উন্মোচন করা স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘটায় অঘটন। শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে দুইয়ে দুই হয়ে যায় তাদের। এবার ক্রিকেটে নবাগত দেশটির সামনে ভারত।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডকে সুযোগই দিল না ভারত
আর এক ম্যাচ জিতলেই প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই সুপার এইট নিশ্চিত হয়ে যাবে- এমন সমীকরণ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ভারতের সামনেও একই সমীকরণ।
বুধবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
এই ম্যাচে ভারতের জয় দেখতে উদগ্রীব হয়ে থাকবে পাকিস্তান ও দলটির ভক্তরা। কারণ যুক্তরাষ্ট্র জিতলেই পাকিস্তানের সুপার এইট খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। তবে ভারত হারলেও শেষ ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করার সুযোগ থাকবে।
এই ম্যাচে ভারতের একাদশ অপরিবর্তিত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে। মোনাঙ্কের পরিবর্তে শায়ান জাহাঙ্গীর এবং নস্টুশের পরিবর্তে শ্যাডলি ভ্যান শাল্কউইককে নিয়ে মাঠে নামছেন অ্যারন জোন্স।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, জাসপ্রীত বুমরাহ, আরশদীপ সিং, মোহাম্মদ সিরাজ।
যুক্তরাষ্ট্র একাদশ: স্টিভেন টেলর, শায়ান জাহাঙ্গীর, অ্যান্ড্রিস গাউস, অ্যারন জোন্স (অধিনায়ক), নীতীশ কুমার, কোরি অ্যান্ডারসন, হারমিত সিং, শ্যাডলি ভ্যান শাল্কউইক, জসদীপ সিং, সৌরভ নেত্রাভালকার, আলী খান।
৫৬৪ দিন আগে
পাঁচ শর্তের প্রথমটি উতরে গেল পাকিস্তান
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে পাকিস্তানের শেষ আট স্বপ্ন ভীষণ জটিল ও কঠিন সমীকরণের মধ্যে পড়ে গেছে। পাঁচটি শর্ত যদি পাকিস্তানের পক্ষে যায়, তবেই কেবল সুপার এইট খেলার সুযোগ পাবেন বাবর আজমরা। এমন পরিস্থিতিতে কানাডার বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেয়ে প্রথম শর্ত পূরণ করেছে পাকিস্তান।
তৃতীয় ম্যাচে এসে অবশেষে পেয়েছে জয়ের দেখা। কানাডার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে তারা।
মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টস জিতে কানাডাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বাবর আজম। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটে ১০৬ রান করে সাদ বিন জাফরের দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬ বল হাতে রেখেই দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান।
দলের হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। আর বাবর আজম করেন ৩৩ রান।
কানাডার হয়ে দুটি উইকেট নেন ডিলন হেইলিগার। বাকি উইকেটটি নেন জেরেমি গর্ডন।
৫৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে রিজওয়ানের হাতে।
আরও পড়ুন: শেষ আটে যেতে পাকিস্তানের সামনে যে সমীকরণ
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ২০ রানের মাথায় সিয়াম আইয়ুব ফিরে গেলে বাবরকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। দলীয় ৮৩ রানের মাথায় বাবর আউট হন। একটি করে ছক্কা ও চারে ৩৩ বলে ৩৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ফখর জামান ক্রিজে এলেও তার ভূমিকা ছিল নগণ্য। জয়ের বন্দর থেকে তিন রান পেছনে থাকাকালে আউট হন ফখর। পুরো সময়টা একাই সামলান রিজওয়ান।
শেষ পর্যন্ত ১৭.৩ ওভারে লক্ষ্য ছুঁতে সমর্থ হয় পাকিস্তান।
বুধবার রাত সাড়ে আটটায় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে ভারত। পরবর্তী ধাপের এই ম্যাচে মনেপ্রাণে ভারতের সমর্থন করবে পাকিস্তনের ভক্তরা। এই মিশন সফল হলে পরের আরও তিনটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে তাদের, যেখানে তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কেবল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচটি। আগামী ১৬ জুন ওই ম্যাচ খেলতে নামবে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হারে ‘আইসিসির আইনকে’ কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্লেষকরা
৫৬৫ দিন আগে
পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল কানাডা
বড় ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে কানাডাকে অল্পে গুটিয়ে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানি বোলাররা। ফলে ব্যাট হাতে দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির ব্যাটারদের।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টস জিতে কানাডাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বাবর আজম। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটে ১০৬ রান করেছে সাদ বিন জাফরের দল। ফলে জিততে হলে এই লক্ষ্য অতিক্রম করতে হবে পাকিস্তানকে।
টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ একেবারেই মামুলি লক্ষ্য হলেও নাসাউ কাউন্টির উইকেটে এ রান অনেক। এখন পর্যন্ত এই উইকেটে ব্যাটারদের ভুগতেই দেখা গেছে। এ মাঠে অনুষ্ঠিত ছয় ম্যাচের মাত্র দুটিতে লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি সব ম্যাচেই রান তাড়ায় ব্যর্থ বাকি দলগুলো।
তাই কানাডার দেওয়া এই চ্যালেঞ্জিং স্কোর ভালো রান রেটের সঙ্গে অতিক্রম করা পাকিস্তানি ব্যাটারদের জন্য কঠিন হবে বলেই ধারণা করা যায়।
কানাডার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন অ্যারন জনসন। অপরদিকে, পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির ও হারিস রউফ।
জোড়া চারে ইনিংস শুরু করা কানাডা প্রথম তিন ওভারই চার মেরে শুরু করেন। এতে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নবনীত ধালিওয়াল। তবে তৃতীয় ওভারে মোহাম্মদ আমিরের শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান নবনীত। এর ফলে তিন ওভার শেষে ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় কানাডা। ফেরার আগে ৭ বলে ৪ রান করেন নবনীত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হারে ‘আইসিসির আইনকে’ কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্লেষকরা
এরপর ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে তৃতীয় ব্যাটার পারগাত সিংকে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। তার শর্ট অফ লেংথের লাফিয়ে ওঠা বলটি খেলার চেষ্টা করেই বিপদ ডেকে আনেন পারগাত। বলটি তার গ্লাভস ছুঁয়ে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফখরের তালুতে আটকে যায়। ফলে ২৯ রানে দুই উইকেট হারায় কানাডা।
সপ্তম ওভারের শেষ বলে ফের উইকেট পাওয়ার উল্লাসে মাতে পাকিস্তান। নিকোলাস কিরটনকে রানআউট করে দেন ইমাদ ওয়াসিম। এরপর দশম ওভারে জোড়া উইটকেট নেন হারিস রউফ। ওভারের তৃতীয় বলে হারিস রউফের ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন শ্রেয়াস মোভা। পঞ্চম বলে স্লিপে ক্যাচ দেন নতুন ব্যাটার রবিন্দরপাল সিং। এর ফলে দশ ওভার শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে কানাডা।
ব্যাটাররা যখন একের পর এক যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিয়েছেন, তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন অ্যারন জনসন। ত্রয়োদশ ওভারে ছক্কা মেরে নিজের ফিফটিও তুলে নেন তিনি। তবে ঠিক ছয় বল পর ১৩.৩ ওভারে নাসিম শাহ তাকে বোল্ড করে ফেরান। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৪ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারের সাহায্যে ৫২ রান করেন তিনি।
এরপর ১৭.৫ ওভারে মোহাম্মদ আমিরের শিকার হন কানাডা অধিনায়ক সাদ বিন জাফর। ইনিংসের তৃতীয় দুই অঙ্ক ছোঁয়া ১০ রান করেন তিনি।
শেষের দিকে কলিম সানার ১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে কানাডা।
আরও পড়ুন: এক পরিবর্তন নিয়ে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান
৫৬৫ দিন আগে
এক পরিবর্তন নিয়ে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান
শেষ আটে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে পরবর্তী দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের। এমন সমীকরণ নিয়ে কানাডার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে কানাডাকে শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
প্রথম ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে চনমনে রয়েছেন কানাডার খেলোয়াড়রা। ম্যাচের আগেও পাকিস্তানকে ‘ভয় পাচ্ছি না’ বলে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির অধিনায়ক সাদ বিন জাফর।
এদিকে, একাদশে একটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামছেন বলে জানিয়েছেন বাবর আজম। ইফতেখার আহমেদের পরিবর্তে সিয়াম আইয়ুবকে খেলাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেষ আটে যেতে পাকিস্তানের সামনে যে সমীকরণ
পাকিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, উসমান খান, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ আমির।
কানাডা একাদশ: অ্যারন জনসন, নবনীত ধালিওয়াল, পরগাট সিং, নিকোলাস কিরটন, শ্রেয়াস মোভা, রবিন্দরপাল সিং, সাদ বিন জাফর (অধিনায়ক), ডিলন হেইলিগার, কলিম সানা, জুনায়েদ সিদ্দিকী, জেরেমি গর্ডন।
৫৬৫ দিন আগে
বাংলাদেশের হারে ‘আইসিসির আইনকে’ কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্লেষকরা
মাত্র চার রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর আইসিসির আইন নিয়ে সমালোচনা করেন তৌহিদ হৃদয়। ম্যাচশেষে হতাশ কণ্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আইন তো আর আমার হাতে নেই।’
সোমবার (১০ জুন) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আম্পায়ারের একটি ভুল সিদ্ধান্তে চার রান পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় টাইগাররা। কাকতালীয়ভাবে ওই চার রানেই হেরেছে বাংলাদেশ।
ঘটনাটি সপ্তদশ ওভারের। ওটনিয়েল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লেগে পেছন দিয়ে সীমানা পার হয়ে যায়। তবে বল প্যাডে লাগার পর ফিল্ডারদের দুর্বল আবেদনেও আঙুল তুলতে দেরি করেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়ে অবশ্য বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। তবে ওই চার রান আর বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যোগ হয়নি।
আইসিসির নিয়ম অনুসারে, আম্পায়ার আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বলটি ডেড বল হিসেবে গণ্য হবে। ফলে চার রান থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। অথচ বলটি আউট ছিল না।
আরও পড়ুন: নিজের আউটটি এখনও পোড়াচ্ছে তৌহিদ হৃদয়কে
এই নিয়মের কঠোর সমালোচনা করেছেন বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আইসিসি চাইলেই এই আইন পরিবর্তন করে বিতর্ক এড়াতে পারে।’
এই ধরনের পরিস্থিতিতে বলের গতিবিধি ও ব্যাটারদের রান নেওয়া পর্যন্ত আম্পায়ার অপেক্ষা করতে পারেন বলে মত তার।
‘আপনার হাতে তো সময় আছে। আপনি চাইলেই ২ সেকেন্ড অপেক্ষা করে দেখতে পারেন, বল কোথায় যাচ্ছে, বাউন্ডারি হলো কি না। এসব দেখেও আপনি সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন।’
তামিমের মতে, ব্যাটসম্যান যদি আউট না হন, তাহলে ওই বলে হওয়া রান দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমার কথা হয়তো সমর্থকদের মতো শোনাচ্ছে। তবে চিন্তা করলে দেখবেন, ওই ৪ রান খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারত। ধারাভাষ্যকাররাও এটি নিয়ে কথা বলছিলেন।
‘আমি মনে করি, আইসিসি এ ব্যাপারে ভেবে দেখতে পারে। চাইলেই এটি এড়ানো সম্ভব। এমন নয় যে, খুব বড় কোনো পরিবর্তন করতে হবে তাদের।’
ক্রিকইনফোর ওই আয়োজনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বোলার মরনে মরকেলের কণ্ঠেও শোনা যায় একই সুর।
তামিমের কথায় সমর্থন দিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন হলে (পরিবর্তন) ফিল্ডাররাও বাউন্ডারি বা এক-দুই রানগুলো ঠেকানোর চেষ্টা করবে। খেলায় অবশ্যই কিছু একটা পরিবর্তন প্রয়োজন। আশা করছি, বিশ্বকাপের পর এটি নিয়ে ভাবা হবে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানের সাবেক পেসার ওয়াকার ইউনুসও এই নিয়মের সমালোচনা করেছেন।
আইসিসির নিয়মের বলি হয়ে বাংলাদেশের হারে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘এলবিডব্লিউতে ডেড বলের বিতর্কিত নিয়মটির ব্যাপারে (আইসিসির) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এ কারণে একটি অল্প রানের থ্রিলার ম্যাচ (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) হেরে গেল বাংলাদেশ।’
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের অভিযোগে প্রথম সাড়া দেন হৃদয়। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, এত টানটান একটি ম্যাচে আমাদের জন্য এটা একেবারেই ভালো কল ছিল না। আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন, কিন্তু এটা আমাদের জন্য বেশ খরুচে হয়ে গেল। এই চার রান পেলে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে যেতে পারত।’
আরও পড়ুন: উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের একটি ভেন্যুতে যেখানে লো স্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে, এই চার রান বা দুটি ওয়াইডের কল, যা আমাদের পক্ষে দেওয়া হলো না- এমন জায়গাগুলোতে (আম্পায়ারের) আরও উন্নতির জায়গা আছে।’
ক্রিকবাজের ম্যাচ-পরবর্তী আলোচনায়ও এ বিষয়টি নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার ও প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল।
তিনি বলেন, ‘একবার ভাবুন তো, ফাইনাল ম্যাচে এমন কিছু হলো আর ভারত এর ভুক্তভোগী!
‘আমি জানি, খেলার নিয়ম পুরোপুরি বদলে ফেলা কঠিন। তবে এটা তেমন কোনো আইন নয়। কিছু একটা পরিবর্তন অবশ্যই দরকার।
‘ওই বল কোনোভাবেই স্ট্যাম্পে লাগত না, অথচ আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গে আঙুল তুলে দিলেন। এটা অনেকটা বন্দুকের ট্রিগারে চাপ দেওয়ার মতো। খুবই বাজে সিদ্ধান্ত ছিল।’
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষ প্রথম ম্যাচে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচটি হেরে খানিকটা পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এতে বাকি তিন দলেরই লাভ হয়েছে। শেষ আটে উঠতে তাই আগামী ১৩ ও ১৬ জুন যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে।
৫৬৫ দিন আগে
নিজের আউটটি এখনও পোড়াচ্ছে তৌহিদ হৃদয়কে
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে মাত্র চার রানের হার বাংলাদেশি ভক্তদের হৃদয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। এমন হারে মানসিকভাবে ভুগছে টিম টাইগারও।
নিজের আউটটি নিয়ে এখনও কষ্টে রয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। ওই সময় তার ওই আউটটি ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তিনিও মনে করেন, তার আউটটিই ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে।
দুই বলে যখন ৬ রান প্রয়োজন, সেসময় মহারাজের ফুলটস ডেলিভারিতে ব্যাটি চালিয়ে লং-অনে ধরা পড়েন মাহমুদুল্লাহ। এরপরই পরাজয়ের গ্লানিতে ডোবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা হৃদয় বলেন, ‘ম্যাচটি আমার শেষ করে আসা উচিৎ ছিল। আমার আউট হওয়াটাই ম্যাচ হারের মুহূর্ত ছিল বলে আমি মনে করি।’
১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটর করতে নেমে শুরুতেই কয়েকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর দলকে টেনে তুলে জয়ের স্বপ্ন দেখান হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ। একেবারে কাছাকাছি চলেও গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু শেষের দিকে খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, আর তার খেসারত দিতে হয়েছে হেরে।
উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এখনও জয় পায়নি বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে আটবারের দেখায় প্রতিবারই টাইগারদের হতাশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চারবার দেখা হয়েছে দুই দলের। ২০০৭ সালের প্রথম আসরে ৭ স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে উইকেটে হারে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত আসরে ৬ উইকেটে, ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত আসরে ১০৪ রানে এবং ২০২৪ সালের ১০ জুনের এই ম্যাচে মাত্র চার রানে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদবঞ্চিত হলো নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: শেষ আটে যেতে পাকিস্তানের সামনে যে সমীকরণ
বিশ্বকাপের এই চার ম্যাচের বাইরে দুই দলের আরও পাঁচবার দেখা হয়েছে। ২০০৮ সালে জোহানেসবার্গে ১২ রানে, ২০১৫ সালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৫ রানে ও ৩১ রানে, ২০১৭ সালে ব্লোয়েমফন্টেইনে ২০ রানে ও পচেফস্ট্রুমে ৮৩ রানে হারে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ হেরে শেষ আটে উঠতে তাই আগামী ১৩ ও ১৬ জুন যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে।
৫৬৬ দিন আগে
উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ
শেষ ওভারে প্রয়োজন ১১ রান। প্রথম ডেলিভারিটি ওয়াইড দিয়ে লক্ষ্য দশে নামালেন কেশব মহারাজ। পরের বলে বাই থেকে এক রান নিয়ে জাকের আলীকে স্ট্রাইক দিলেন মাহমুদউল্লাহ। তৃতীয় বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়লেন জাকের। চতুর্থ বলে রিশাদকে লেগ বিফোরের জন্য রিভিউ নিলেন মহারাজ, তবে ব্যর্থ হলেন। এরই মধ্যে এক রান নিয়ে জায়গা বদল করলেন তারা।
দুই বলে তখন প্রয়োজন ৬ রান। স্ট্রাইকে মাহমুদউল্লাহ, বাংলাদেশকে একা হাতে অসংখ্য ম্যাচ জেতানো মাহমুদউল্লাহ। মহারাজ ফুল টস দিলেন, কষে মারলেনও মাহমুদউল্লাহ, তবে সীমান্তে ধরা পড়লেন তিনি। মাথায় হাত উঠে গেল তার, মাথায় হাত দিলেন গ্যালারিভর্তি টাইগার-সমর্থকও। পরের বলটিও ফুল টস হলো, তবে ব্যাট-বলে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হলেন রিশাদ। হেরে গেল বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও মাত্র চার রানে হেরে হৃদয় ভাঙল টাইগারদের। এর ফলে টানা তিন জয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে শেষ আট নিশ্চিত করল প্রোটিয়ারা। আর ঝুলে রইল বাংলাদেশের ভাগ্য।
১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ১০৯ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে তৌহিদ হৃদয় সর্বোচ্চ ৩৭ ও মাহমুদউল্লাহ ২০ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ নেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। এছাড়া নর্টকিয়া ও রাবাদা উইকেট নিয়েছেন দুটি করে।
৪৬ রান করে দলের সংগ্রহের ভিত গড়ে দেওয়ায় হাইনরিখ ক্লাসেনকে দেওয়া হয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
আরও পড়ুন: দলের বিপদকালে আরও একবার জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ
দ্বিতীয় ইনিংসে মার্কো ইয়ানসেনের প্রথম ওভারে এক রান নেওয়ার পর জোড়া চারে দ্বিতীয় ওভার শুরু করেন তানজিদ তামিম। তবে রাবাদার ওই ওভারের শেষ বলে ওয়াইড লেংথের বলে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে ৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর লিটনকে নিয়ে দেখেশুনে খেলে পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট না হারিয়েই দলীয় সংগ্রহ ২৯ রানে নিয়ে যান অধিনায়ক শান্ত। তবে পরের ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন লিটন। কেশব মহারাজের আউটসাইড অফের ডেলিভারিতে সজোরে ব্যাট চালিয়ে শর্ট কভার অঞ্চলে মিলারের তালুবন্দি হন তিনি।
লিটন ১৩ বলে ৯ রান করে ফিরলে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেওয়া সাকিবও পরের ওভারে ক্যাচ হয়ে ফেরেন। আনরিখ নর্টকিয়ার প্রথম ওভারেই তার শিকার হন তিনি।
দশম ওভারে ফিরে যান শান্ত। প্রোটিয়া পেসারদের মোকাবিলা করতে শুরু থেকেই যথেষ্ট ভুগছিলেন তিনি। শেষমেষ দশম ওভারের পঞ্চম বলে নর্টকিয়ার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ১৪৬ কিলোমিটার গতির বলটিকে বাউন্সার দেন নর্টকিয়া। সেটি শরীরের মধ্যে উঠে গেলে পুল করতে চান শান্ত। তবে এজ হয়ে বলটি ওপরে উঠে গেলে শর্ট মিড উইকেট থেকে সহজ ক্যাচটি লুফে নেন মার্করাম।
এর ফলে দশ ওভার শেষ ৫০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন তৌহিদ হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
আরও পড়ুন: শেষ আটে যেতে পাকিস্তানের সামনে যে সমীকরণ
হৃদয়-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে একসময় জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। তবে ১৬.২ ওভারে জয়ের জন্য যখন আর ২৬ রান প্রয়োজন, তখন টাইগার ভক্তদের হৃদয়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওটনিয়েল বার্টম্যানের বল মাহমুদুল্লাহর প্যাডে আঘাত করলে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিলে দেখা যায়, লেগ স্ট্যাম্প মিস করেছে বল। ফলে বেঁচে যান মাহমুদুল্লাহ; এর সঙ্গে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সমর্থকরাও।
কিন্তু পরের ওভারে রাবাদার প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় হৃদয়কে। তিনিও রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে বাঁচতে পারেননি। ৩৪ বল খেলে দুটি করে ছক্কা ও চারের সাহায্যে ৩৭ রান করে হৃদয় যখন ফিরছেন, তখন দলের প্রয়োজন ১৭ বলে ২০ রান।
এরপর শেষ ওভারের নাটকীয়তায় চার রানে জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এখনও জয় পায়নি বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে আটবারের দেখায় প্রতিবারই টাইগারদের হতাশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চারবার দেখা হয়েছে দুই দলের। ২০০৭ সালের প্রথম আসরে ৭ স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে উইকেটে হারে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত আসরে ৬ উইকেটে, ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত আসরে ১০৪ রানে এবং ২০২৪ সালের ১০ জুনের এই ম্যাচে মাত্র চার রানে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদবঞ্চিত হলো নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের এই চার ম্যাচের বাইরে দুই দলের আরও পাঁচবার দেখা হয়েছে। ২০০৮ সালে জোহানেসবার্গে ১২ রানে, ২০১৫ সালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৫ রানে ও ৩১ রানে, ২০১৭ সালে ব্লোয়েমফন্টেইনে ২০ রানে ও পচেফস্ট্রুমে ৮৩ রানে হারে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ হেরে শেষ আটে উঠতে তাই আগামী ১৩ ও ১৬ জুন যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে।
৫৬৬ দিন আগে
মিলার-ক্লাসেনের ব্যাটে ১১৩ রানে থামল দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে খানিকটা স্বস্তিতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ‘চেনা’ নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে প্রথমবার শুরুতে ব্যাট করেছে। তবে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের সামনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি তারা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করেছে প্রোটিয়ারা। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে ধৈর্য ধরে প্রোটিয়া বোলিং তোপ সামলে এই লক্ষ্য অতিক্রম করতে হবে টাইগারদের।
ব্যাট হাতে হাইনরিখ ক্লাসেন সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। এছাড়া ডেভিড মিলার করেন ২৯ রান। বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম সাকিব সর্বোচ্চ তিনটি ও তাসকিন দুই উইকেট নিয়েছেন। বাকি উইকেটটি গেছে রিশাদ হোসেনের ঝুলিতে।
এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। ২৩ রান তুলতেই প্রথম চার ব্যাটারকে হারিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখে তারা।
আরও পড়ুন: শেষ আটে যেতে পাকিস্তানের সামনে যে সমীকরণ
ইনিংসের শুরুতে রিশাদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক শান্ত। তার প্রথম বলটি ডট গেলেও পরের দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে রানের খাতা খোলেন কুইন্টন ডি কক। পঞ্চম বলে স্ট্রাইক রোটেট করলে রিশাদের প্রথম বল মোকাবিলা করতে গিয়েই লেগ বিফোর হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রিজা হেনড্রিকস।
প্রথম ওভারে ১১ রান দিলেও ব্রেকথ্রু পান রিশাদ। সফল হয় শান্তর কৌশল।
দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেও তাসকিনকে ছক্কা মারেন ডি কক। তবে তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসা তানজিম সাকিবের কাছে পরাস্ত হন তিনি। ওভারের প্রথম দুটি বল ডট যাওয়ার পর অফ স্ট্যাম্পে রাখা তৃতীয় বলটি স্কয়ার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ডি কক। কিন্তু বল কিছুটা নিচে হওয়ায় ব্যাটে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে অফ স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়ে চলে যায় তা। আর এর সঙ্গে উল্লাসে মাতে টাইগার সমর্থকরা। তিনি ১১ বলে দুই ছক্কা ও একটি চারে ১৮ রান করে ফিরলে দলীয় ১৯ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারায় প্রোটিয়ারা।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে তাসকিনকে একটি চার মেরে পঞ্চম বলে বোল্ড হয়ে যান এইডেন মার্করাম। এর ফলে চলমান বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে তার ব্যর্থতা অব্যাহত থাকল।
আরও পড়ুন: সৌম্যকে বাদ দিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফের গ্যালারির বাংলাদেশি ভক্তদের মাঝে উচ্ছ্বাস। ট্রিস্টান স্টাবসকে আউট করেন তানজিম সাকিব। তানজিমের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিটি কভারের দিকে সজোরে পেটান স্টাবস। কিন্তু চকিতে ঝাঁপিয়ে তা তালুবন্দি করেন সাকিব আল হাসান। ফলে ৫ বলে খালি হাতে ফিরতে হয় তাকে।
২৩ রানের মাথায় তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর উইকেটে থিতু হয়ে হাত খোলা শুরু করেন ডেভিড মিলার ও হাইনরিখ ক্লাসেন। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় আর উইকেট না হারিয়ে দশ ওভারে ৫৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে একাদশ ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেট পেয়েই যাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তার নিচু হওয়া বলে ব্যাট স্পর্শ করেই বিপদে পড়ে যান মিলার। তবে লিটন উইকেটের পেছনে এত কাছে ছিলেন যে, তিনি বুঝে ওঠার আগেই বলটি তার উরুতে লেগে মাটিতে পড়ে। ফলে সে যাত্রায় বেঁচে যান মিলার।
এরপর ৭৯ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন ক্লাসেন। ১৭.৩ ওভারে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। তার আগে খেলে যান ৪৪ বলে ৪৬ রানের মূল্যবান ইনিংস। তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে এই রান করেন ক্লাসেন। ফলে ২৩ রানে চতুর্থ উইকেটে হারানোর পর ১০২ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন হয় দক্ষিণ আফ্রিকার।
পরের ওভারে রিশাদের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে যান অপর প্রান্তের মিলারও। আউটসাইড অফস্ট্যাম্প থেকে উইকেটে আসা ডেলিভারিটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যর্থ হন মিলার। ফলে বল স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ৩৮ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ২৯ রান করে ফেরেন মিলার।
শেষে মার্কো ইয়ানসেন ও কেশব মহারাজ যথাক্রমে ৫ ও ৪ রানে অপরাজিত থেকে ১১৩ রানে ইনিংস শেষ করেন।
আরও পড়ুন: টাইগারদের বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
৫৬৬ দিন আগে
টাইগারদের বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
টস জিতে প্রথমবারের মতো শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। ২৩ রান তুলতেই প্রথম চার ব্যাটারকে হারিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখছে প্রোটিয়ারা।
এদিন ইনিংসের শুরুতে রিশাদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক শান্ত। তার প্রথম বলটি ডট গেলেও পরের দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে রানের খাতা খোলেন কুইন্টন ডি কক। পঞ্চম বলে স্ট্রাইক রোটেট করলে রিশাদের প্রথম বল মোকাবিলা করতে গিয়েই লেগ বিফোর হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রিজা হেনড্রিকস।
প্রথম ওভারে ১১ রান দিলেও ব্রেকথ্রু পান রিশাদ। সফল হয় শান্তর কৌশল।
দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেও তাসকিনকে ছক্কা মারেন ডি কক। তবে তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসা তানজিম সাকিবের কাছে পরাস্ত হন তিনি। ওভারের প্রথম দুটি বল ডট যাওয়ার পর অফ স্ট্যাম্পে রাখা তৃতীয় বলটি স্কয়ার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ডি কক। কিন্তু বল কিছুটা নিচে হওয়ায় ব্যাটে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে অফ স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়ে চলে যায় তা। আর এর সঙ্গে উল্লাসে মাতে টাইগার সমর্থকরা। তিনি ১১ বলে দুই ছক্কা ও একটি চারে ১৮ রান করে ফিরলে দলীয় ১৯ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারায় প্রোটিয়ারা।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে তাসকিনকে একটি চার মেরে পঞ্চম বলে বোল্ড হয়ে যান এইডেন মার্করাম। এর ফলে চলমান বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে তার ব্যর্থতা অব্যাহত থাকল।
পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফের গ্যালারির বাংলাদেশি ভক্তদের মাঝে উচ্ছ্বাস। ট্রিস্টান স্টাবসকে আউট করেন তানজিম সাকিব। তানজিমের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিটি কভারের দিকে সজোরে পেটান স্টাবস। কিন্তু চকিতে ঝাঁপিয়ে তা তালুবন্দি করেন সাকিব আল হাসান। ফলে ৫ বলে খালি হাতে ফিরতে হয় তাকে।
২৩ রানের মাথায় তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ ওভার শেষ চার উইকেটে ২৪ রান করেছে প্রোটিয়ারা। ডেভিড মিলার ১ ও ক্লাসেন শূন্য রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজে রয়েছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী, মাহমুদউল্লাহ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: রিজা হেনড্রিকস, কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ট্রিস্টান স্টাবস, হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্টকিয়া, ওটনিয়েল বার্টম্যান।
৫৬৬ দিন আগে