বিশ্ব
২০২৩ সালে গড়ে দিনে ১৪০ নারী সঙ্গী বা আত্মীয়ের হাতে নিহত: জাতিসংঘ
২০২৩ সালে নারীদের জন্য বাসা-বাড়ি সবচেয়ে প্রাণঘাতী স্থান হয়ে উঠেছে। সেখানে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন নারী ও কিশোরীকে নিকটাত্মীয় বা পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে।
সোমবার জাতিসংঘের দুটি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ইউএস উইমেন এবং জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫১ হাজার ১০০ নারী ও কিশোরীকে তাদের সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৮ হাজার ৮০০ জন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে গড়ে দিনে ১৪০ নারী সঙ্গী বা আত্মীয়ের হাতে নিহত: জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন বিরোধী দিবসে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, হত্যা বেড়েছে বিষয়টি এমন নয়, আসলে তথ্য প্রাপ্তির উন্নতির কারণে সংখ্যা বেড়েছে।
তবে, উভয় সংস্থা জোর দিয়ে বলেছে, এই ধরনের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে নারীদের এবং কিশোরীদের প্রভাবিত করে। কোনো অঞ্চলই এ থেকে মুক্ত নয়। প্রতিবেদনে আবারও বলা হয়েছে, ‘বাড়ি নারী ও মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান।’
২০২৩ সালে সঙ্গী ও পারিবারিক সহিংসতার কারণে সবচেয়ে বেশি হত্যার ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকায়। আনুমানিক ২১ হাজার ৭০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে। এই মহাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় এই ধরনের মৃত্যুর হারও সবচেয়ে বেশি ছিল। প্রতি ১ লাখে ২.৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে।
আমেরিকা ও ওশেনিয়াতেও এ সংক্রান্ত মৃত্যুহার বেশি ঘটনা ছিল। আমেরিকায় প্রতি ১ লাখে ১.৬ জন নারী এবং ওশেনিয়ায় প্রতি ১ লাখে ১.৫ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এর বিপরীতে এশিয়া ও ইউরোপে মৃত্যুহার ছিল অনেক কম, যথাক্রমে প্রতি এক লাখে ০.৮ এবং ০.৬ জন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যক্তিগত পরিসরে বেশিরভাগ নারীকে তার সঙ্গী হত্যা করেছে।অন্যদিকে পুরুষ অথবা কিশোরদের হত্যা করা হয়েছে বাড়ির বাইরে কোথাও।
এতে আরও বলা হয়, মোট হত্যার শিকার মানুষের মধ্যে পুরুষ ও কিশোরেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে পরিবারের মধ্যে প্রাণঘাতী সহিংসতার শিকার নারী ও মেয়েরা।
২০২৩ সালে হত্যার শিকার হওয়া নারীদের প্রায় ৬০ শতাংশই ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যরা খুন করেছে। আর মোট হত্যাকাণ্ডের শিকার মানুষের মধ্যে নারীদের হার ২০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধরনের হত্যাকাণ্ডগুলো উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এসব মৃত্যু প্রায়ই লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ফলে ঘটে এবং সঠিক সময়ে ও কার্যকর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: পর্তুগালে জাতিসংঘ সভ্যতা জোটের দশম গ্লোবাল ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩৯৯ দিন আগে
ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
ব্রাজিলের পূর্বাঞ্চলীয় আলাগোয়াস রাজ্যে একটি বাস খাদে পড়ে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
রবিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
অগ্নিনির্বাপন বিভাগের মতে, বাসটিতে ৪০ জন যাত্রী ছিল। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইউনিয়াও দোস পালমারেস পৌরসভার পর্বতাঞ্চলের একটি খাদে পড়ে যায়।
রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারের প্রতি পূর্ণ সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একই সঙ্গে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
৩৯৯ দিন আগে
বৈরুতে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯
রবিবার রাত বৈরুত ও এর দক্ষিণ শহরতলিতে ইসরায়েলের একাধিক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে। এসব হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬৬ জন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হারেত হরেক, বুর্জ বারাজনেহ ও হাজতসহ বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির এলাকা লক্ষ্য করে তাদের যুদ্ধবিমানগুলো হিজবুল্লাহ কমান্ড সেন্টারগুলোতে হামলা চালায়।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাদিদ জানায়, আধ ঘণ্টার মধ্যে ১২টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ফুটেজে রবিবারের আক্রমণের পর বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়তে দেখা যায়।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচাই আদরির সতর্কবার্তা অনুযায়ী ওই এলাকায় বাসিন্দাদের কিছু ভবন সরিয়ে নেওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে আহ্বান জানানো হয়েছিল।
এসব আক্রমণ শনিবার বৈরুতের বাস্তা ফওকা এলাকায় একটি আট তলা আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হয়। এরপরই ওই চালানো হয়।
ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, আক্রমণের লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে লেবাননের সংসদ সদস্য এবং হিজবুল্লাহর সদস্য আমিন শেরি দাবি করেন, ভবনটিতে কোনো সামরিক বা বেসামরিক ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল না।
বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায়, হিজবুল্লাহ রবিবার দক্ষিণ লেবাননে পাঁচটি ইসরায়েলি মেরকাভা ট্যাঙ্ক ধ্বংসের দাবি করে। তারা গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে সেসব নষ্ট করেছে।
আরও পড়ুন: বৈরুতের কেন্দস্থলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০
সংগঠনটি আরও দাবি করে, তারা উত্তরের ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি স্থানে আক্রমণ চালায়। এর মধ্যে ছিল কেরেম বেন জিমরা এবং কফার ব্লুম।
সেপ্টেম্বর ২৩ থেকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননে তাদের বিমান হামলা আরও বাড়িয়ে দেয়। অক্টোবরের শুরুতে, ইসরাইল লেবাননের উত্তর সীমান্তে একটি গ্রাউন্ড অপারেশনও শুরু করে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে যে, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩,৭৫৪ জন নিহত এবং ১৫,৬২৬ জন আহত হয়েছে।
৩৯৯ দিন আগে
বৈরুতের কেন্দস্থলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০
যুদ্ধ বিরতির কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যে পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই লেবাননের রাজধানী বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে অব্যাহত ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার(২৩ নভেম্বর) এই হামলা চালানো হয় বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় ৬৬ জন আহত হয়েছেন। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে মধ্য বৈরুতে চতুর্থ হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটল।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে একটি চুক্তির জন্য মার্কিন দূত আমোস হোচস্টেইন ওই অঞ্চল সফর করার পর এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই লড়াইয়ে প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ বা লেবাননের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বোমা হামলা ও লড়াইয়ে প্রায় ৯০ জন সৈন্য ও প্রায় ৫০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
আটতলা ভবন ধ্বংস
শনিবার ভোর ৪টার ইসরায়েলি বিমান হামলায় বৈরুতের কেন্দ্রস্থলের একটি আটতলা ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। হিজবুল্লাহর আইনপ্রণেতা আমিন শিরি বলেন, হিজবুল্লাহর কোনো কর্মকর্তা ভেতরে ছিলেন না। হামলায় আশপাশের কয়েকটি ভবনের সম্মুখভাগ ধসে যায় এবং গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
লেবাননের সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা ওয়ালিদ আল-হাশাশ বলেন, 'এলাকাটি আবাসিক, খুব ঘেষাঘেষি ও জনাকীর্ণ ভবন এবং সরু রাস্তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে।’
আরও পড়ুন: লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হতাহতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবারও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী টায়ারে ড্রোন হামলায় দুইজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
সোর এলাকার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ফাতাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ বিকাই বলেন, নিহতরা নিকটবর্তী আল-রশিদিহ শিবির থেকে আসা ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তারা মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন।
বিকাই বলেন, গত মাসে লেবাননের দক্ষিণ উপকূল এড়িয়ে চলার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সতর্কতা সত্ত্বেও, ‘আপনারা এমন কাউকে বলতে পারেন না যে, খাওয়ার প্রয়োজনেও আপনি মাছ ধরতে পারবেন না।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর শমুস্তারে চার শিশুসহ আটজন, দক্ষিণাঞ্চলীয় রুমিন গ্রামে আরও পাঁচজন এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বুদাই গ্রামে আরও পাঁচজন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতালের পরিচালকসহ নিহত ৬
৪০০ দিন আগে
আফগানিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
আফগানিস্তানের ফারিয়াব প্রদেশে দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচ যাত্রী নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সংস্কৃতি ও তথ্য পরিচালক শামসুদ্দিন মোহাম্মদি।
প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে জাওজান ও পার্শ্ববর্তী ফারিয়াব প্রদেশের সংযোগকারী মহাসড়কে। একটি গাড়ি রাস্তার ওপর উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত ও সাতজন আহত হয়।
এর কয়েক মিনিট পর প্রদেশের পশতুন কোট জেলায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ফলে আরও একটি গাড়ি উল্টে যায়। এতে এক নারী ও এক শিশু নিহত হয়। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোই দুর্ঘটনা দুটির কারণ জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, যানজটপূর্ণ সড়কে চালকদের অসাবধানতার কারণে প্রায়ই যাত্রীদের প্রাণহানি ঘটে।
৪০১ দিন আগে
পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ৩৩
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় যাত্রীবাহী গাড়িতে এক ভয়াবহ বন্দুক হামলায় শিয়া সম্প্রদায়ের ৪২ জন নিহত হওয়ার পরের দিনই এ সহিংসতার ঘটনা ঘটল। শুক্রবার রাতভর চলে এ সংঘর্ষ।
সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের ২৪ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ শিয়া মুসলমান। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিসংসতা দেশটিতে নতুন নয়।
দেশজুড়ে সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করলেও কুররামসহ কিছু কিছু জায়গায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনও উত্তেজনা রয়ে গেছে।
শনিবার ওই অঞ্চলের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি বাগান ও বাচা কোট এলাকার দোকানপাট, বাড়ি ও সরকারি সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া কুররামের আলিজাই ও বাগান সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে শিয়াদের গাড়িতে হামলায় নিহত বেড়ে ৪২
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কুররামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। উভয় পক্ষই ভারী ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে একে অপরের ওপর হামলা অব্যহত রেখেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতে আগুনের লেলিহান শিখা একটি বাজারকে গ্রাস করেছে। এ সময় গুলির শব্দও শোনা যায়।
বন্দুক হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা একটি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বাস ও গাড়িতে গুলি ছুড়তে থাকে। বৃহস্পতিবারের হামলার স্থানটিও লক্ষ্য করে সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালায়।
এখন পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি এবং পুলিশও হত্যার উদ্দেশ্য শনাক্ত করতে পারেনি।
জুলাই মাসে জমি নিয়ে বিরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিষয়টি বর্তমানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। সহিংসতায় এ পর্যন্ত বেশকিছু লোকের প্রাণ গেছে।
৪০১ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতালের পরিচালকসহ নিহত ৬
ইসরায়েলি বিমান হামলায় উত্তর-পূর্ব লেবাননে নিজ বাড়িতে হাসপাতালের একজন পরিচালকসহ আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে শুক্রবার দেশের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে পাঁচ প্যারামেডিক নিহত হয়েছেন।
গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় নয়জন চিকিৎসা কর্মী আহত হয়েছেন এবং জেনারেটর ও অক্সিজেন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক। তবে ওই এলাকায় কোনো হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার ইসরায়েলি সেনা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর দিয়েছে জাতিসংঘ। হিজবুল্লাহর ছোড়া একটি রকেট তাদের ঘাঁটিতে আঘাত হানলে ইতালির চার শান্তিরক্ষী সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আরও পড়ুন: লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৭
প্রায় এক বছর ধরে চলমান নিম্ন মাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর সেপ্টেম্বরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়। শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৫০ জন। নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান ও স্থল আগ্রাসনের শিকার।
গাজা উপত্যকায় ৪৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সংস্থাটি বেসামরিক ও যোদ্ধাদের আলাদাভাবে শনাক্ত না করে বলেছে, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরেইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের অভিযানে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে নিহত হয়। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এসময় হামাস সদস্যরা আরও ২৫০ জন ইসরায়েলিকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যায়। প্রায় ১০০ জিম্মি এখনও গাজার অভ্যন্তরে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে, যাদের অন্তত এক তৃতীয়াংশ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
৪০১ দিন আগে
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী গোলাবর্ষণ ও স্থল সংঘর্ষ চলাকালে শুক্রবার হিজবুল্লাহ বা তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর ছোড়া রকেট জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে।
শুক্রবার ওই অঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউএনআইএফআইএল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া রকেটের আঘাতে মিশনের চার ইতালীয় সেনা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইতালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইউএনআইএফআইএল জানিয়েছে, রকেটগুলো একটি বাঙ্কার ও একটি রসদ এলাকায় আঘাত হানায় আশপাশের অবকাঠামোর বেশ ক্ষতি হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শামা ঘাঁটিতে এটি তৃতীয় হামলার ঘটনা।
আরও পড়ুন: লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৭
এর আগে, শুক্রবার ইউএনআইএফআইএলের মুখপাত্র আন্দ্রেয়া টেনেন্টি বলেছিলেন যে তারা উপকূলীয় শহর নাকৌরা এবং উত্তর-পূর্বের চামা গ্রামসহ দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ পর্যবেক্ষণ করছেন।
টেনেন্টি বলেন, ‘আমাদের ঘাঁটির আশপাশে ভারী গোলাবর্ষণের বিষয়ে আমরা অবগত।’
গত ১ অক্টোবর থেকে ইসরাইল লেবাননে স্থল আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত ইউএনআইএফআইএলের বেশ কয়েকটি পোস্টে হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।
৪০১ দিন আগে
মাস্কের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে অস্ট্রেলিয়ার কড়া জবাব
শিশু-কিশোরদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে নতুন যে আইন উত্থাপন হয়েছে, তা দেশটির সরকারের কূট পরিকল্পনা হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন এক্স-এর মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। মাস্কের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে উত্থাপিত বিলের উদ্দেশ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
শিশুদের বেড়ে ওঠা প্রাণবন্ত করার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে তাদের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পার্লামেন্টে এক প্রস্তাব উত্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড। প্রস্তাবিত আইনে ১৬ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোরদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয়।
রোল্যান্ড বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শিশুদের বেড়ে ওঠা যে অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক বৈশিষ্ট নয়, এই বিলের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি নতুন আদর্শিক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা হবে।’
‘যাচাই না করা বিপুল পরিমাণ কনটেন্টের সংস্পর্শ থেকে শিশু-কিশোরদের বিরত রাখতে তাৎক্ষণিকভাবে অবশ্যই কিছু করা উচিত। আর এ বিষয়টি দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।’
তবে বিষয়টিতে অন্য কিছুর গন্ধ পান ইলন মাস্ক। এক্স-এ তিনি লেখেন, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে এটি (সরকারের) একটি গোপন কৌশল বলে মনে হচ্ছে।
তবে শুক্রবার মাস্কের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির কোষাধ্যক্ষ জিম চালমার্স।
আরও পড়ুন: ১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করবে অস্ট্রেলিয়া
মাস্কের দাবিই সরকারের উদ্দেশ্য কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই না।’
‘মাস্কের কাছ থেকে এমন মন্তব্য পাওয়া বিস্ময়কর কিছু নয়। কারণ আইন বাস্তবায়নের পর তা লঙ্ঘন করলে এক্সসহ সব সামাজিক প্ল্যাটফর্মকে ১৫ কোটি (অস্ট্রেলিয়ান) ডলার করে জরিমানা করা হবে।’
‘ফলে মাস্ক যে আমাদের এই পদক্ষেপে খুশি নন, তা আমাদের বিস্মিত করে না। তার মন্তব্য আমাদের খুব বেশি ভাবায় না।’
ব্যাপক রাজনৈতিক সমর্থন থাকায় এক্স, টিকটক, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট ও ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক প্ল্যাটফর্ম থেকে কিশোর-কিশোরীদের নিষিদ্ধ করতে আগামী সপ্তাহেই অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট আইনটি পাস হতে পারে। সোমবার এ নিয়ে দেশটির সংসদ সদস্যদের মধ্যে পার্লামেন্টে বিতর্ক হওয়ার কথা রয়েছে।
চালমার্স আরও বলেন, ‘ইলন মাস্ককে খুশি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নীতিমালা করা আমাদের কাজ নয়। আমাদের কাজ হচ্ছে অনলাইনে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
৪০১ দিন আগে
লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৭
লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বালবেক-হারমেল প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪৭ জন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রদেশের গভর্নর বাচির খোদর এ তথ্য জানান।
সেখানকার বিভিন্ন শহর ও গ্রামে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উদ্ধারকারী দলগুলো এখনও বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজদের সন্ধান করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেবাননের সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননে ৪৮টি বিমান হামলা চালায়। এছাড়া দক্ষিণ লেবাননের ১৮টি সীমান্ত শহর ও গ্রাম লক্ষ্য করে প্রায় ১০০টি গোলা নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: হিজবুল্লাহর মিডিয়া প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
এদিকে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের যোদ্ধারা মধ্য ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, লেবানন সীমান্ত থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে মধ্য ইসরায়েলের কিব্বুটজ হাটজোর আশদোদের কাছে অবস্থিত হাটজোর বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাত বাড়িয়ে গত সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। অক্টোবরের শুরুতে ইসরায়েল তাদের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে।
৪০১ দিন আগে