সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কুইন্স টাউনে সপ্তাহব্যাপী প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছে। তারা ডানেডিনে ভালো অনুশীলন ক্যাম্পও করেছে।
তবে সিরিজের আগে তাদের প্রস্তুতি নিয়ে তামিম প্রশ্ন তুলতে নারাজ।
‘আমরা কোয়ারেন্টাইন সময়কালে প্রচুর অনুশীলন করেছি এবং ডানেডিন আসার আগে আমরা কুইন্স টাউনেও অনুশীলন করেছি। তাই প্রস্তুতি নিয়ে কোনো অজুহাত থাকা উচিত নয়,’ ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের পেস আক্রমণ নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই দেখাতে পারেনি সফরকারীরা। ট্রেন্ট বোল্ট ৪টি উইকেট শিকার করেন। অন্য পেসাররাও ভালো করেছেন।
বাংলাদেশ মাত্র ১৩১ রানে অলআউট হয়, যা ২০০৭ সালের পর কিউইদের বিপক্ষে টাইগারদের সর্বনিম্ন স্কোর। তামিম শুরুতেই বোল্ডকে ওভার বাউন্ডারি মেরে শুভসূচনা করেন। তবে শুরুর ভালোটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। বোল্ডের একই ওভারে তামিম ও সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর সেই ধ্বস আর সামাল দিতে পারেনি তামিম বাহিনী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ: প্রথম ওয়ানডে বড় ব্যবধানে হারল টাইগাররা
বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর চূড়ান্ত
‘আমাদের ৪-৫টি সফট ডিসমিসাল ছিল যা আমাদের ম্যাচ থেকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় এবং আমরা সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। যদি আমরা স্কোরবোর্ডে ২৫০-২৬০ রান জমা করতে পারতাম তাহলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারত। ব্যাটসম্যানদের ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানো উচিত এবং স্কোরবোর্ডে ভালো সংগ্রহ তুলে দেয়া দরকার যাতে করে বোলাররা ডিফেন্ড করতে পারে,’ বলেন তামিম।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল তাদের নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেইলরকে ছাড়াই মাঠে নামে। ১১ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার দুই ব্যাটসম্যানকে ছাড়া ওয়ানডে ম্যাচ খেললো কিউইরা।
আগামী ২৩ ও ২৬ মার্চ সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে থাকছেন না তামিম