৮২ মিনিট পর্যন্ত সবাই ধরেই নিয়েছিল আর্জেন্টিনা জয়লাভ করবে। কারণ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২-০ গোলে মেসিরা এগিয়ে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে ডাচরা যে এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে তা হয়তো অনেকেই কল্পনা করেননি। তবে ফুটবলের মোড় কখন যে ঘুরে যায় তা বলা কঠিন। হয়েছেও তাই। অতিরিক্ত সময়সহ ডাচরা দুই গোল শোধ করে বসেন।
এই পর্যন্ত ২-২ গোলে দল দুইটি ট্রাইব্রেকারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে আর্জেন্টিনার হয়ে ৩৫ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন নাহুয়েল মোলিনা। এরপর ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপে মেসির মোট গোল সংখ্যা দাঁড়াল ১০-এ। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৮৩ মিনিটে ও ৯০+১১ মিনিটে দুটি গোলই করেন ভাউট বেগহোর্স্ট।
ট্রাইব্রেকারেও ৯০ মিনিটের প্রতিফলন দেখা যায়। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ডাচদের প্রথম দুটি শট আটকিয়ে দেয়। অন্যদিকে প্রথম তিন শটেই গোল করেন মেসিরা। ফলে আবারও ধরেই নেয়া হয় আর্জেন্টিনা যাচ্ছে সেমিফাইনালে। কিন্তু এনজো ফার্নান্দেজের চতুর্থ শট গোলবারে যেতে পারেনি। নেদারল্যান্ডসের তৃতীয় শটের পর বাকি দুটি শটেও গোল করতে পাড়ায় ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ফলে ৩-৩ এর সমীকরণে ম্যাচের ভাগ্য তখন ছিল লাওতারো মার্তিনেজের হাতে। তিনি আর ভুল করেননি। গোলটি করে আর্জেন্টিনাকে সেমিফাইনালে উঠিয়ে দিলেন।
ফলে ট্রাইব্রেকারের ৪-৩ স্কোরে আর্জেন্টিয়া জয়লাভ করে। সেমিফাইনালে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় মেসিরা মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে।
ম্যাচে ডাচদের পায়েই বেশির ভাগ সময় বল ছিল। আর্জেন্টিনাদের কাছে বল ছিল ৪৮ শতাংশ সময়ে। এই ম্যাচটির একটি বিশেষ দিক ছিল রেফারি ম্যাথু লাহোজ। ম্যাচে আর্জেন্টিনা হলুদ কার্ড পায় আটটি। সেখানে মেসিও আছেন। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের হলুদ কার্ড ছিল ছয়টি। তবে তাদের ভাগ্যে লাল কার্ডও ছিল।