আর্থিক সংকটে জর্জরিত হওয়ায় গত কয়েক মৌসুম ধরেই দলবদলের মৌসুমে ভুগছে বার্সেলোনা। নতুন কোনো তারকা ফুটবলার তো কিনতে পারছেই না, বরং অভিজ্ঞদের অনেককেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে ক্লাবটি।
সবশেষ দলবদলের মৌসুমে গত মৌসুমে দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ইলকাই গুন্ডোগানকে ফ্রিতে ছেড়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে আইনে আয় ও খরচ ১:১ অনুপাতে ফেরাতেই সেরা খেলোয়াড় হলেও সর্বাধিক বেতন পাওয়া গুন্ডোগানকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ক্লাবটি। এমনকি আসন্ন শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের মতো ফুটবলারের জন্যেও তারা প্রস্তাব শুনতে চায় বলে গুঞ্জন রয়েছে। দলের এমন দুর্দশায় আরও একবার তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে লা মাসিয়ার ওপর।
নিজেদের এই অ্যাকাডেমির তরুণ সব ফুটবলারদের মূল দলে খেলার সুযোগ দিয়েই গত কয়েক মৌসুম ধরে ঘরোয়া ও ইউরোপীয় অঙ্গনে প্রতিযোগিতা করে চলেছে দলটি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা থেকে আবারও সিটিতে গুন্ডোগান
বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে চুক্তি শেষ করে, ধারে বা ফ্রিতে ছেড়ে দিয়ে মাত্র একজন খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে তারা। ৬০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে লাইপসিগ থেকে দানি অলমোকে দলে ভেড়ালেও লা লিগায় নিবন্ধন করাতে ঘাম ছুটে গেছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে মার্ক বের্নাল, পাউ ভিক্তর, আলেক্স ভায়ের মতো তরুণদের লা মাসিয়া থেকে মূল দলে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে ক্লাবটির স্পোর্টিং বিভাগের কর্তারা।
আর এসব কারণে চলতি মৌসুমে লা লিগার ক্লাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী স্কোয়াড এখন কাতালুনিয়ার এই ক্লাবটির।
৩৬ বছর বয়সী রবের্ট লেভানডোভস্কি থাকলেও বার্সেলোনার স্কোয়াডের গড় বয়স ২৪.১ বছর। সর্বকনিষ্ঠ স্কোয়াডের দিক থেকে লা লিগায় তাদের পরেই রয়েছে রিয়াল সোসিয়েদাদ ও ভালেন্সিয়া, উভয় ক্লাবেরই স্কোয়াডের গড় বয়স ২৫ বছর। ২৬.৫ বছর গড় বয়স নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিক, ৭-০ ব্যবধানে জিতল বার্সেলোনা
তবে সবচেয়ে বেশি বয়সী স্কোয়াডের কাতারে রয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ক্লাবটির স্কোয়াডের গড় বয়স ২৮.১ বছর। তাদের চেয়ে বেশি বয়সী স্কোয়াড আছে শুধু একটি ক্লাবের। চলতি মৌসুমে ২৯.৩ বছর গড় বয়স নিয়ে সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্কোয়াড রায়ো ভায়েকানোর।
তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে, এত এত ছোট ছোট ফুটবলার দিয়ে খেলিয়েও চলতি মৌসুমের শুরুটা সবচেয়ে ভালোভাবে করেছেন বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার এক দারুণ মিশ্রণে মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচেই জয় পাওয়া একমাত্র দল তারই।