বুধবার একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তিন দিনের ইন-রুমের কোয়ারেন্টাইনের পরে তারা আন্তস্কোয়াড প্রশিক্ষণ সেশনের জন্য চার দিন সময় পাবে।
আরও পড়ুন: মাশরাফিকে ছাড়াই উইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
প্রথম সাত দিনের কোয়ারানটাইন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল স্থানীয় কর্মীদের সেবা পাবে।
এ সিরিজটি ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবং প্রথম খেলা ২০ জানুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে এবং ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় ম্যাচটি একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামে খেলা হবে।
আরও পড়ুন: মাশরাফির ফিরে আসার সুযোগ নেই, বিসিবি প্রধানের ইঙ্গিত
ওয়ানডে সিরিজের পরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি চট্টগ্রামে ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। সিরিজের চূড়ান্ত ও শেষ টেস্টটি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
আকরাম বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের মূল দল নিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা করেনি। তবে এর আগে আমরা তাদের পূর্ণ-শক্তি দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি। এর অর্থ এই নয় যে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্বল দলের বিপক্ষেও জিতব।’
‘এই সিরিজ জিততে আমাদের খেলার তিনটি বিভাগেই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এছাড়াও, ভাবতে হবে আমরা দীর্ঘদিন পরে একটি সিরিজ খেলতে চলেছি। উভয় দলের পক্ষে এটি বড় একটি চ্যালেঞ্জ হবে,’ বলে জানান সাবেক এই অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: উইন্ডিজদের দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে হতাশ বাশার
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলে বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে যারা এতে তাদের দক্ষতা প্রমাণের সুবর্ণ সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।’
কোভিড-১৯ বিরতির পর বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হবে এই সিরিজের মধ্যে দিয়ে। এই সিরিজ চলাকালীন একটি বায়ু-সিকিউর বাবল ব্যবস্থা করতে হবে বিসিবিকে।
আরও পড়ুন: মাশরাফিকে ছাড়াই উইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
আকরাম খান বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন কোভিড-১৯ এর কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড সিরিজ বাধা পেয়েছে। তাই, আমাদের সাবধানে সবগুলো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কোনো ধরনের বাধাহীনভাবে এ সিরিজটি আয়োজন করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জই হবে।’