বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয় সবোর্চ্চ ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব ধরনের পণ্য উঠা-নামা।
বন্দরে অবস্থানরত সব বিদেশি জাহাজের শ্রমিক-কর্মচারীদেরও নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে।
সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত ২২টি জাহাজকে গভীর সমুদ্রে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলি শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আর ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ আজ দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের বৃষ্টিতে ভিজছে ঢাকা
এদিকে পণ্যবাহী জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বন্দরে পণ্যভর্তি কনটেইনার ও যন্ত্রপাতি সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ উপকূল অতিক্রম করবে। আর সন্ধ্যা নাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এ সময় উপকূলীয় জেলা, অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে