দেশীয় প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়েই শেষ পর্যন্ত সচল হলো দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের রবি মৌসুম। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এ মৌসুমের সেচ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম।
এর আগে পাম্প হাউজের ৩নং পাম্পটি মেরামত করেন দেশীয় অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলীরা।
অটোকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আজাদ জানান, বিদেশি প্রকৌশলীরা যা মেরামত করতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা চেয়েছে সেখানে এরা দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকায় তা মেরামত করে দিয়েছে। একইসঙ্গে ডিজিটাল ট্রান্সমিশনের ব্যবস্থা করেছে এর মাধ্যমে ঢাকা থেকেও বসে সরাসরি পাম্পগুলো কী পরিস্থিতিতে আছে তা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: দেশের জলাশয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়া সাকার মাছ-এর ক্ষতিকর দিক
জিকে পাম্প হাইজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, হাউজের তিনটি পাম্পের মধ্যে আজ একটি চালু করা হয়েছে। আর ১ নংটির কিছু ত্রুটি রয়েছে সেটি মেরামত করে দু-একদিনের মধ্যেই সচল করা যাবে। অন্যটি অর্থাৎ ২ নংটির মেকানিক্যাল সমস্যা হয়েছে। এটিও মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে। একটি পাম্প দিয়ে এখন প্রতি সেকেন্ডে ৬৫০ কিউবিক ফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি খালের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে যেতে আরও দুই দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম বলেন, প্রকৌশলীরা একটি পাম্প সচল করায় প্রকল্পের সক্ষমতা বেড়েছে। এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে। এতে করে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। যদিও খালগুলো ভরাট হয়ে বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতা কমে এসেছে।