জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি কিছু করতে পারে বলে কেরি সম্মত হন।
তিনি বলেন, অনেক দেশ পর্যাপ্ত হ্রাসকরণ ও অভিযোজনের প্রশ্নে যথেষ্ট দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ও এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ফোন করে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিশ্বব্যাপী ইস্যু এবং এ সম্পর্কিত মার্কিন-বাংলাদেশের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এ সময় উভয় পক্ষ কোপ২৬ এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: কথার চেয়ে কাজ বেশি চান শেখ হাসিনা
মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বৈশ্বিক সহযোগিতা চান জাতিসংঘ প্রধান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের পরীক্ষিত সময়ের কথা স্মরণ করেন এবং প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক দূত হিসেবে কেরিকে নিয়োগ দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের সন্তুষ্টির কথা জানান।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যারিস চুক্তির প্রতি কেরির গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং প্যারিস চুক্তিতে ফিরে আসার মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
ড. মোমেন এ সময় জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় হ্রাসকরণ, অভিযোজন ও উদ্ভুত পরিস্থিতি সামলে খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো বর্ণনা করেন।
তিনি জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সভাপতিত্বে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) ও গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) ঢাকা অফিসের বর্তমান ও ভবিষ্যত পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্বকে বাঁচাতে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান শেখ হাসিনার
জলবায়ু পরিবর্তন: দক্ষিণ এশিয়ায় অভিযোজন সক্ষমতা বাড়ানো হবে
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে ‘ডেল্টা তহবিল’ গঠন করবে সরকার
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশ যে নজীরবিহীন চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে কেরি সেগুলো উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন যে পরবর্তী কোপ২৬ সম্ভবত লক্ষ্য অর্জনের সর্বশেষ সুযোগ হতে যাচ্ছে। আর তাই এই লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র অটল ও অনড়।
এ সময় কেরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন খাত ও ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি যতটা সম্ভব মানুষকে অন্তর্ভুক্তির জন্য বর্তমান সুযোগকে কাজে লাগানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
কেরি সিভিএফ এবং জিসিএ’র কার্যক্রম সম্পর্কে জানারও আগ্রহ প্রকাশ করেন।