এসব চারা জেলার চাহিদা মিটিয়েও বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। বেচা-কেনা সন্তোষজনক হলেও হাটের জন্য নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় ব্যবসায়ী ও কৃষকদের ভোগান্তি বাড়ছে। তবে সব কিছু ছাড়িয়ে প্রতিবছরের মত এবারও নন্দনপুরে ধানের চারার হাট জমে উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, রোপা-আমন মৌসুমকে সামনে রেখে বিভিন্ন বীজতলা থেকে উৎপাদিত চারা হাটে নিয়ে এসেছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এ মৌসুমে জেলায় ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ২৮শ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের বীজতলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১শ ৫০ হেক্টর দিয়েই স্থানীয় চাহিদা মিটবে।
ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা চারা উৎপাদন না করে হাট থেকে তাদের কাঙ্খিত চারা সংগ্রহ করছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দু’ধারে গড়ে উঠা এ বাজার থেকে বিভিন্ন স্থানের কৃষকরা বাইশ, খাসা, নাজিরশাইল, বীনা-৭, বীনা-২২ ও গাইন্ধার চারা সংগ্রহ করছেন।
ব্রাক্ষণবাড়িয়াসহ আশপাশের জেলা থেকে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা চারা কিনতে আসেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার চারা বিক্রি হয় এ বাজারে। তবে ঐতিহ্যবাহী এ বাজারটির জন্য স্থায়ী কোনো জায়গা না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক আবু নাছের জানান, ঐতিহ্যবাহী এ বাজারটিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্থায়ী সুবিধার জন্য চারার বাজারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।