সবজি বিক্রেতারা বলছেন, শীত যত বাড়বে সরবরাহও তত বাড়বে এবং তখন দাম আরও কমবে যাবে।
শনিবার জেলার পাইকারি কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম দিকে ফুলকপি প্রতি পিছ ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে শিমের দাম ছিল প্রতি কেজি ৫০ টাকা। এখন সেই শিম ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর ৬০-৬৫ টাকা থেকে কমে এখন ৪০ টাকা কেজি হয়েছে। করলা ছিল ৬০ টাকা কেজি, এখন পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকায়।
এছাড়া, লাউ প্রতি পিছ মিলছে এখন ২০ টাকায়। ১০ টাকা কেজির মুলা এখন ৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পালং শাকের দাম অর্ধেক কমে ১০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। ধনেপাতা ৬০ টাকার জায়গায় এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। পাতা পেঁয়াজ ছিল ৩০ টাকা কেজি, এখন তা ২০ টাকা।
তবে, দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এক সপ্তাহ আগে যে মরিচ ছিল ৬০ টাকা কেজি, আজ সকালে তা বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার শীতের আগাম সবজি বাজারে কিছুটা বেশি আমদানি হওয়ায় দাম ক্রেতাতের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু তারপরও বিক্রি অনেক কম হচ্ছে।
জেলায় চলতি শীত মৌসুমে মোট ৭ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির আবাদ হয়েছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) শামীম ইকবাল জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকরা শীতকালীন সবজির মধ্যে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাল শাক, পালং শাক, মুলা, বরবটি, গাজর, টমেটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, করলা ইত্যাদি আবাদ করেছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, এবার নওগাঁ সদর উপজেলায় ১ হাজার ৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ২১৫ হেক্টর, আত্রাইয়ে ৩৫৪ হেক্টর, বদলগাছিতে ৮৯০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ১ হাজার ২০০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৮৯৫ হেক্টর, ধামইরহাটে ৮২২ হেক্টর, সাপাহারে ৩৮৫ হেক্টর, পোরশাতে ৩৭৭ হেক্টর, মান্দায় ১ হাজার ১৩৫ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৬৫২ হেক্টর জমিতে শাকসবজি উৎপাদিত হচ্ছে।