বৈশ্বিক জলবায়ু কার্যক্রম সপ্তাহের অংশ হিসেবে সুইডিস পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে তারা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের মানুষ আজ বিপদাপন্ন। এই বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় তরুণদের ভূমিকা আরও অর্থবহ করতে জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে তা বাস্তবায়নে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। একই সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রসমূহকে ক্ষতিপূরণে বাধ্য করতে সোচ্চার হতে হবে।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়কারী শাহিন আলম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গোটা বিশ্ব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এই ঝুঁকির মাত্রা সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। জলবায়ু পরির্বতনের ঝুঁকি হ্রাস করতে এসব দেশের ভূমিকা সংকীর্ণ। প্যারিস চুক্তি প্রণয়নের প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তারা আমাদের ভবিষ্যত ও বর্তমান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাই ২০২৫ সালের মধ্যেই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে৷
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রসমূহের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে।
বিশ্ব জলবায়ু কর্মসূচি সপ্তাহ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে বক্তব্য দেন-স্বর্ণকিশোরী ঐশয্য কর্মকার মেঘা, যুব সংগঠক মোমিনুর রহমান, জলবায়ু পরিষদের সদস্য শেফালী পারভীন, স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের রাইসুল ইসলাম, সিডিও ইয়ুথ টিমের সদস্য জান্নাতুল নাইম প্রমুখ।