যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী সচিব আফরিন আক্তারের দু’দিনের সফর শেষে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলসহ সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য ‘সমান সুযোগ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’।
মার্কিন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ঢাকা ছাড়ার আগে সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সকালের নাস্তা করেন আফরিন আক্তার।
রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন ‘অবশ্যই একে অপরের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে।’
তিনি স্বাস্থ্য, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দূতাবাসে নিয়োগ: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে চাকরি, বেতন ৯০,০০০
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বলেন, তারা বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এবং এটি কোনও নির্বাচনকেন্দ্রিক আলোচনা নয়।
আখতার রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের ইউএসএআইডি মিশন বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।’
সেক্রেটারি (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সঙ্গে তার বৈঠকের সময় মার্কিন কর্মকর্তা সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং কিভাবে তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে এবং এই অঞ্চলে অন্যান্য সামুদ্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান এবং মালদ্বীপের জন্য ব্যুরো অব সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স (এসসিএ)-এর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সেইসঙ্গে নিরাপত্তা ও ট্রান্সন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসে সম্প্রতি এসসিএ সহকারী সচিবের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন ডন লু।
এর আগে, আখতার মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার স্মরণে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে পতাকা অর্ধনমিত