এশিয়ার এ চারটি দেশ মনে করে- বিসিআইএম-এর উন্নয়নে সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড এবং ‘সরকারি সহায়তা ও মাল্টি-ট্রাক’ সহযোগিতা অব্যাহত রাখা উচিত।
মঙ্গলবার চীনের ইউশি শহরের লেকসাইডে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরামের ১৩তম বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়।
বৈঠকের পর চারটি দেশের প্রতিনিধিরা ১২টি পয়েন্টে যৌথভাবে স্বাক্ষর করেছেন। যেখানে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
যৌথ বিবৃতি অনুসারে, সড়কপথ, রেলপথ, নৌপথ, বিমান চলাচল, জ্বালানি ও ডিজিটাল খাতে ব্যাপকভাবে কানেক্টিভিটির (যোগাযোগ) মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে ওই চার দেশ।
তারা পর্যায়ক্রমে এক দেশের সীমানা থেকে অন্য দেশের সীমানা পেরিয়ে পণ্য ও সেবা বিনিময়ের জন্য নীতিমালাগুলো সহজ ও কার্যকর করার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেছে।
বৈঠকে চারটি প্রতিবেশী দেশ মনে করে- আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের পারস্পরিক বোঝাপড়া, নীতি ও সংলাপ, উন্নয়ন কৌশলগুলোর সমন্বয়সহ সকল খাতে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে বিসিআইএম ফোরাম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।
তারা এও বলেন যে, অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে পর্যাপ্ত বিনিয়োগে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
এর আগে নিজের স্বাগত বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই দেখতে চাই যে বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডর পয়েন্ট টু পয়েন্টে যোগাযোগের ক্ষেত্রে শুরুর প্রচেষ্টা থেকে এগিয়েছে।
বৈঠকে চাইনিজ পিপল’স পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান গাও ফেং, বিসিআইএম যুগ্ম স্টাডি গ্রুপের রাজিত মিত্তার ও মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাপরিচালক উইন জেয়ার তুন পর্যায়ক্রমে চীন, ভারত ও মিয়ানমারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অন্যদের মধ্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান, বেইজিংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম ও কুনমিনে বাংলাদেশের কনস্যুল জেনারেল মো. তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিসিআইএম ফোরামের ১৪তম বৈঠক বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে অনুষ্ঠিত হবে।