আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার হলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে গুজব, অপপ্রচার রটিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হয়। একই সঙ্গে সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। বিষয়গুলো ডিসিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের তৎপর থাকাসহ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকদের মাঠ প্রশাসনের প্রাণ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে জেলা প্রশাসকরা হচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের প্রাণ। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমেই সরকারি সিদ্ধান্তগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়। এজন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে যে সেশনটি একটু আগে শেষ করলাম সেখানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে তার মধ্যে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় ৯ কোটি মানুষ ব্যবহার করে। সেটি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন প্রচারের বড় ক্ষেত্রে। তেমনি অপপ্রচার রটানোর ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় ক্ষেত্র। আমরা যদি গত আট বছরের পরিসংখ্যান দেখি তাহলে দেখতে পাই, আমাদের দেশে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, গুজব রটেছে, রটনা হয়েছে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার প্রায় সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে করানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা সে বিষয়টি তুলে ধরেছি।
মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেখা যায় নানা বিভ্রান্তিমূলক খবর পরিবেশন করে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা করা হয়। সে বিষয়গুলো ডিসিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে, তারা যেন এসব বিষয়ে তৎপর থাকেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেন।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই বাংলাদেশের অভ্যুদয়: তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সম্প্রচারনীতিমালা অনুযায়ী কোন আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যালেনর মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। কিন্তু দেখা যায় আইপিটিবির মাধ্যমে এখনও কোন কোন জায়গায় খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। ইউটিউব চ্যালেনের মাধ্যমেও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করা হচ্ছে। এটি আমাদের সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী করতে পারে না। যে সম্প্রচার নীতিমালা আমাদের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে।’