গ্রাহকদের সঙ্গে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণা ও গ্রাহক ঠকিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত বাংলাদেশর কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে এই তদন্ত করে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাত করে বিদেশে থাকা পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিক বিথিসহ ৫ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
বৃহস্পতিবার গ্রাহকদের কাছ থেকে আত্মসাতকৃত অর্থ ফেরতের দাবিতে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট রুলে ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাত করে যারা বিদেশে পাচার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন। সেই সঙ্গে পাচার হওয়া টাকা উদ্ধার করে গ্রাহকদের কেন ফেরত দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বাণিজ্য সচিবসহ মোট ৯ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও আব্দুল কাইয়ুম।
গত বছরের বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকরা ই-অরেঞ্জ থেকে বিভিন্ন পণ্যের জন্য অর্থ দিয়ে ভাউচার কিনেন। কিন্তু পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে মালিকপক্ষ কোম্পানি গুটিয়ে পালিয়ে যায়। এমন প্রেক্ষাপটে ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার পাশাপাশি কত টাকা বিদেশ পাচার করা হয়েছে তা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩ এপ্রিল এই রিটটি করেন ই-অরেঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪৭ গ্রাহক। সে রিটের শুনানি নিয়ে আজ রুলসহ আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে প্রতারণা মামলা