অর্থনৈতিক কূটনীতির অংশ হিসেবে পণ্যে বৈচিত্র্য এনে ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অধিকতর গুরুত্ব দেয়ার মাঝে এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বুধবার সকালে জার্মানির বার্লিনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ফ্রান্স, ইতালি ও গ্রিসও সফর করবেন।
‘আমরা রপ্তানি বৃদ্ধি ও এতে বৈচিত্র্য আনতে চাই,’ জানিয়ে তিনি বলেন, ইউরোপ সফরের প্রতিটি বৈঠকে তিনি রোহিঙ্গাদের বিষয়টিও তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জার্মানি সফর করবেন এবং সেখানে তিনি জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে অংশ নেবেন বলে এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হকও বার্লিন সফর করছেন।
বুধবার সকালে ঢাকা ত্যাগের আগে তিনি ইউএনবিকে সফর নিয়ে বলেন, ‘জার্মানি এককভাবে বৃহত্তম আমদানিকারক হিসেবে আছে। তাই এটি গুরুত্বপূর্ণ।’
এছাড়া, বাংলাদেশ চায় সরকারিভাবে গড়ে তোলা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কগুলোতে জার্মান ও ফরাসি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করুক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্লিন থেকে ফ্রান্সের প্যারিস সফর করবেন ২০-২২ অক্টোবর এবং অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি একটি অর্থনৈতিক ফোরামে অংশ নেবেন।
ফরাসি সিনেট আয়োজিত এ অর্থনৈতিক ফোরামে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২৭ অক্টোবর ইতালির রোম এবং ২৮-২৯ অক্টোবর গ্রিসের এথেন্স সফর করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
এর আগে ড. মোমেন ২৩-২৪ অক্টোবর আজারবাইজানের বাকুতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৮তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন।
২৫-২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ন্যাম সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।