তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। ক্যান্সার হাসপাতালকে গত মাসেই ২০০ থেকে ৫০০ শয্যা করা হয়েছে। আট বিভাগে আটটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ প্রক্রিয়াধীন। এ বছরই দেশের সব আইসিইউ শয্যার সংখ্যাও দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৫০টি নতুন ডায়ালাইসিস শয্যা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ১০০ শয্যার স্ট্রোক ইউনিট উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, ‘আজ নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ১০০ শয্যার স্ট্রোক ইউনিট উদ্বোধন করা হলো, যা বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এটি আমাদের এক বিরাট অর্জন। স্বাস্থ্য সেবার এসব সুবিধা ভালোভাবে সম্পন্ন করার জন্য খুব জরুরি ভিত্তিতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে।’
স্ট্রোক চিকিৎসায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ থেকেই বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে ১০০ শয্যার স্ট্রোক ইউনিট স্থাপন একটি বিরল ঘটনা। পৃথিবীর হাতে গোনা কয়েকটি দেশের হাসপাতাল ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও মালেয়েশিয়াসহ বিশ্বের আর কোথাও ১০০ শয্যার স্ট্রোক ইউনিট নেই।’
অনুষ্ঠানের আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে নতুন শয্যাগুলো দেখেন এবং চিকিৎসারত রোগীদের সাথে কথা বলেন।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ডা. বদরুল আলম প্রমুখ।