উপাচার্য সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ এর এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই দাবি জানানো হয়।
দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে পদত্যাগের আন্দোলন শুরুর একদিনের মাথায় উপাচার্য সমর্থকদের এমন ঘোষণা আসলো।
আন্দোলনে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ও উপ-উপাচার্য আমির হোসেনের মদদ রয়েছে উল্লেখ করে সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষার দাবির আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দুর্নীতির ‘কল্পিত’ অভিযোগ এনে শিক্ষকদের একটি অংশ উপাচার্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
‘বুধবার মুঠোফোন সংযোগ বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠকে উপ-উপাচার্য আমির হোসেন অংশ নেননি। এর মাধ্যমে চলমান সংকট সমাধানের পথ জটিল করে নিজে উপাচার্য হবার পাঁয়তারা করছেন, ’ বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
এতে আরও কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো- উপ-উপাচার্যে পদ থেকে আমির হোসেনকে পদত্যাগ করতে হবে। তার বিরুদ্ধে ভর্তি কেলেঙ্কারির দায়ে গঠিত আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটির কাজ শেষ করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ থেকে তাকে বিরত রাখতে হবে। এছাড়া সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরুর দাবিও জানানো হয়।
তবে উল্টো অভিযোগ তুলে অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সাথে বৈঠকের আগের রাতে আমার মুঠোফোন সংযোগ বন্ধ করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এতে মদদ রয়েছে।’
পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন মাননীয় আচার্য। আমার কোনো কর্মকাণ্ডের কারণ দর্শানো কিংবা সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ারও আচার্যের।’
এর আগে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে গত বুধবার থেকে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে আসছে জাবির আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।