পুলিশের সহকারী কমিশনার (নিউ মার্কেট জোন) আবুল হাসান জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনজনের জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
‘প্রাথমিক তদন্তের পর আমরা এ ঘটনার সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা পাইনি। তাদের জিজ্ঞেসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ অভিযোগ
‘অধিকতর তদন্তে আমরা যদি তাদের কোনো ধরনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাই, তবে তাদের আইনের আওতায় আনব,’ বলেন এসি।
এদিকে, ভুক্তভোগী আনুশকা নূর আমিনকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোপালপুরে দাফন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কমলাপুর বাজার সড়কে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন:কম্বল দেয়ার কথা বলে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় আনুশকাকে যৌন নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
পুলিশ হাসপাতাল থেকে ভুক্তভোগীর লাশ উদ্ধার এবং সেখান থেকে প্রেমিক দিহান এবং তার তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ওই শিক্ষার্থী কলাবাগানে বন্ধুর বাড়িতে গ্রুপ স্টাডির জন্য গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ও লেভেল শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণ ও হত্যা’: মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ১
এ ঘটনায় আনুশকার বাবা যৌন নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার রাতে দিহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার ঢাকার আদালতে সিআরপিসির ১৫৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অনুশকার কথিত প্রেমিক ফারদিন ইফতেখার দিহান। তার বিরুদ্ধে কলাবাগানের পারিবারিক ফ্ল্যাটে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এবং হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে।
কলাবাগান থানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন এবং তাকে পরবর্তী শুনানির জন্য কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টা: প্রধান আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে
আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ জানুয়ারির দিন ধার্য করেছে।
এদিকে, আনুশকার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা ভুক্তভোগীর শরীরে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, যোনি ও পায়ুপথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আনুশকার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ও লেভেল শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণ ও হত্যা’: মামলায় আসামির স্বীকারোক্তি
ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, পাশাপাশি মৃত্যুর আগে চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না সে জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ডা. সোহেল আরও জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।