সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ওএমএস চাল কালোবাজারির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে।’
পাশাপাশি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ওএমএস চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে বরখাস্ত ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।‘
ইতোমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে এ সংক্রান্ত জিও (অফিস আদেশ) জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনাভাইরাসজনিত প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মোতাবেক আমরা সবাই একযোগে কাজ করছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে শহর ও গ্রামে বিপুল সংখ্যক মানুষের আয়-রোজগারের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য সহায়তা হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয় ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে চাল বিতরণ করছে। প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনার আলোকে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিষয়টির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন। কিন্তু পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে কিছু কিছু জায়গায় ওএমএসের চাল কালোবাজারি হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি স্থানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএস চাল কালোবাজারির সাথে জড়িত ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করাসহ তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমাণসহ প্রতিবেদন তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।