পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘করোনা টিকার উৎপাদন প্রযুক্তি ও জ্ঞান অবিলম্বে একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিনিময় করে নেয়া উচিত। যাতে বাংলাদেশের মতো ঔষধ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলো ব্যাপকহারে টিকা উৎপাদন ও বিতরণ করতে পারে।’
শনিবার নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ‘গ্যালভানাইজিং মোমেন্টাম ফর ইউনিভার্সাল ভ্যাকসিনেশন’শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক থিমেটিক বিতর্কে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উচ্চ-পর্যায়ের এই ইভেন্টটি আহ্বান করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ শাহিদ। এতে, বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘ মহাসচিব, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক এবং জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রী ও সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
করোনা টিকাকে ‘সার্বজনীন বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসাবে বিবেচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশ এবং উৎপাদনকারীদের অবশ্যই সমতার ভিত্তিতে কোভ্যাক্স সুবিধার মাধ্যমে করোনা টিকার বৈশ্বিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী টিকার চাহিদা মেটাতে এর উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে এবং বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। এছাড়া বিশ্ব সম্প্রদায়কে টিকা বিষয়ক ভুল তথ্য এবং টিকা জাতীয়করণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবশ্যই একতাবদ্ধ হতে হবে।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও এর ব্যবস্থাপনায় সরকার সময়োপযোগী যে সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক্ষেত্রে তিনি তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালী করা এবং অরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সরাসরি নগদ অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন ও জীবিকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্য নিশ্চিত করাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা সাধারণ পরিষদ সভাপতির