২০২১ সালের মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহের পর থেকে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গেছে।
আইসিডিডিআর, বি দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
আইসিডিডিআর, বি-এর গবেষণা দলটি মার্চ ১৮ থেকে ২৪ এর মধ্যে কোভিড -১৯ পজিটিভ রোগীদের মধ্যে স্যাটস সিওভি -২ ভাইরাসের ৫৭ টি নমুনার জিনোমিক সিকোয়েন্স ডেটা বিশ্লেষণ করেছে যেখানে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার ভেরিয়েন্টটি পেয়েছে।
করোনাভাইরাসের এই ধরণটি দ্রুত ছড়িয়ে পরে এবং নতুন জিনগত পরিবর্তন হয়, যার প্রকাশভঙ্গি ভিন্ন এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
আইসিডিডিআর, বি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি প্রথম যুক্তরাজ্যের ধরণটি চিহ্নিত করেছিল; তবে, জিআইএসএআইডি.ওআরজে সারস-কোভ -২ সিকোয়েন্স ডাটাবেসটি ইঙ্গিত দিয়েছে যে যুক্তরাজ্যের ধরণটি ইতিমধ্যে দেশে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রচলিত ছিল। যুক্তরাজ্যের ধরণটি ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে ২০২১ সালের মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বেড়েছে, সর্বোচ্চ পজিটিভিটির হার (৫২%) দিয়ে।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনাভাইরাসের নতুন ধরণটি আসার পর থেকে ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে একটি নতুন পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। ২০২১ সালের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে অন্যান্য ধরনগুলোকে ছাপিয়ে এটি সর্বাধিক প্রচলিত ধরন হয়ে উঠে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
উল্লেখযোগ্যভাবে, আইসিডিডিআর, বি ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২১ সালের মার্চ মাসের চতুর্থ সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরণটি ৮১% করোনা পজিটিভ নমুনায় পাওয়া গিয়েছে।
এই অনুসন্ধানের আলোকে, আইসিডিডিআর, বি সবাইকে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
নতুন এই ধরনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কাজ নাও করতে পারে
আরও পড়ুন: লকডাউনের তৃতীয় দিন: আন্তনগর বাস চলছে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান অতীতে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে দক্ষিণ আফ্রিকাতে প্রথম সনাক্ত হওয়া ধরনটির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনগুলি কম কার্যকর হতে পারে।