বৃহস্পতিবার সার্ক কাউন্সিলের অনানুষ্ঠানিক এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলোর সাথে অনেক নতুন নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করবে। যদিও বিদ্যমান অনেক খাত আংশিক বা পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে বা সেগুলোর প্রাসঙ্গিকতা আগের মতো নাও থাকতে পারে।’
সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে কার্যকরভাবে সংস্থাটির বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ড. মোমেন।
কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে খাদ্য ও কৃষি, জনস্বাস্থ্য, আইসিটি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মতো খাতগুলোতে আরও বেশি নজর দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত দেন তিনি।
এছাড়া, সার্কের অন্যান্য অধীস্থ কার্যনির্বাহী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সুপারিশ নিয়মিত করার জন্য পররাষ্ট্র সচিবদের সভার মতো কার্যকর কিছু সভা আয়োজনের বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সাইডলাইনের এ বৈঠকে, সাধারণ মানুষের সম্মিলিত সুবিধার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর একসাথে কাজ করা নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন ড. মোমেন।
তিনি চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত সার্ক নেতাদের ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেন। যেখানে কোভিড-১৯-এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে অনুরূপ জনস্বাস্থ্যের যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সার্কের সব সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ঢাকায় একটি সার্ক পাবলিক হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সার্ক ফোরামকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করা:
সন্ত্রাস ও সংঘাতের পরিবেশকে লালন, সমর্থন এবং উত্সাহদানকারীসহ চূড়ান্তভাবে সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করার জন্য সার্কের সদস্য দেশগুলোকে সম্মিলিতভাবে সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
সংযুক্ত, সংহত, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ার ক্ষেত্রে সার্কের প্রতি ভারতের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এছাড়া, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের অব্যাহত প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
বৈঠকে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে কোভিড-১৯ মহামারির বিরূপ প্রভাবগুলো কাটিয়ে উঠতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন সার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
সার্ক সচিবালয়ের তথ্য অনুসারে, সার্কের সব সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার।