করোনায় দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত একদিনে মারা গেছেন ১০৮ জন।
শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৮৬৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৪ জনে পৌঁছেছে।
তাছাড়া নতুন ১০৮ জনের মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ হাজার ৯৭৬ জনে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ১৪ দিন ‘সম্পূর্ণ শাটডাউনের’ সুপারিশ
এর আগে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনায়, ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৮১ জন মারা গেছেন। এছাড়া ৬ হাজার ৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৬৫৩ টি। শনাক্তের হার ২১.২২ শতাংশ।
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৭৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৯ জন। সুস্থতার হার ৯০.৭৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন:ঝিনাইদহ সদরে করোনা রোগীর ভিড়, অক্সিজেন সংকটের আশঙ্কা
এর আগে করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’ দেয়ার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. শহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩৮তম সভা থেকে এ সুপারিশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ইতোমধ্যে কোভিড রোগের বিশেষ ডেল্টা প্রজাতির সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে ও রোগের প্রকোপ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ, পঞ্চাশোর্ধ জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়।