কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের আবাসন-২ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুমন শেখ (২৫) ওই আবাসনের জামাল শেখের ছেলে ও তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন সনি (২০)খোকসার হেলালপুরের লিটন হোসেনের মেয়ে।
এবিষয়ে আবাসনের সভাপতি আজিবর রহমান জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সুমনের বাবা তাকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করলে তিনি দোকান বন্ধ করে সুমনের বাড়িতে এসে দেখেন সুমনের স্ত্রী হাতের আঙ্গুলে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো অবস্থায় মেঝেতে এবং সুমনের নিথর দেহ বারান্দায় পড়ে রয়েছে। পরে স্থানীয় ডাক্তার এসে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে কুমারখালী থানায় খবর দেয়া হলে রবিবার সকালে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
সুমনের বাবা জামাল শেখ জানান, তিনি তার ছেলের ঘরের ভিতর থেকে তার দুই বছর বয়সী নাতির কান্নার আওয়াজ শুনে বাইরে থেকে দরজা খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ছেলের বউকে বিদ্যুতের তার আঙ্গুলে পেঁচানো অবস্থায় মৃত দেখতে পান এবং ঘরের আড়ার সঙ্গে ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে তারা নামিয়ে আবাসনের সভাপতিকে খবর দেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
তবে একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে নিহত সোনিয়ার বাবা জানান, চার বছর আগে আইসক্রিম বিক্রেতা সুমনের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরের একটি ছেলে আছে। তার জামাই ও মেয়ের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে বাড়ির আশেপাশের লোকজন তাকে জানিয়েছেন তার মেয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে লাশ ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে মা-মেয়ে ও ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার