রবিবার সকাল ৯টার দিকে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, রাজারহাট ও তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৭ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
এদিন ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানায় বিএমডি।
এছাড়া রংপুর বিভাগ জুড়ে এবং গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, পাবনা, যশোর, কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল এবং ভোলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তেঁতুলিয়ায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় টেকনাফে ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মেঘাচ্ছন্ন আকাশের সাথে সারা দেশে আবহাওয়া শুকনো থাকতে পারে।
দেশের নদীর অববাহিকার অঞ্চলগুলোতে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যান্য অঞ্চলের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
শীত মৌসুম আসলেই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন দরিদ্র মানুষেরা। এছাড়া বৃদ্ধ ও শিশুরাও শীতজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকে।
শীতের এই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা কঠিন হতে পারে কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় এই ভাইরাস বেশি ছাড়ায় বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
তাদের আশংকা, শীতকালে কম আর্দ্রতা, কম সূর্যের আলো, ভিটামিন ডি এর অভাব এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রতিবন্ধকতাজনিত কারণে শীতকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যাসহ অন্যান্য ফ্লু জাতীয় রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
তাপমাত্রা বাংলাদেশে করোনার বিস্তারকে ধীর করে দিতে পারে: সিকৃবি
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর ইউএনবিকে বলেন, ‘কোভিড-১৯ ছাড়াও, বাংলাদেশের অনেক মানুষ অন্য চারটি করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ সর্দিজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে সেগুলো স্ব-প্রতিরোধক ভাইরাস। কিন্তু শীতকালে যদি মানুষ কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য করোনাভাইরাসে একসাথে আক্রান্ত হয় তাহলে পরিস্থিতির তীব্র অবনতি হতে পারে।’
‘যদিও এটি কেবলমাত্র অনুমান, তবে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত,’ বলেন তিনি।
কোভিড-১৯ টিকা বিতরণে বাংলাদেশ কি প্রস্তুত?
উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ২৪২ জনে দাঁড়িয়েছে এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬০ জনে।