তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা অনুযায়ী কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ দেয়া থেকে ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দিলে ভালো হবে। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিব আমরা।’
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে প্রথমে ৫০ লাখ, উপহার হিসেবে ২০ লাখ, গতকাল রাতে (সোমবার) এসেছে ২০ লাখ।
আরও পড়ুন: করোনা: ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকা নিয়েছেন সোয়া দুই লাখেরও বেশি মানুষ
করোনার টিকা নিলেন তামিম-সৌম্যরা
মন্ত্রী বলেন, ‘সেরাম থেকে এই মাসে ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা থাকলেও গতকাল ২০ লাখ ডোজ পেয়েছি। ঘাটতি যেটা আছে, আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি, তারা বলছে আগামী মাসে টিকা বাড়িয়ে দিবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, সারা দেশে এক হাজার ১০টি কেন্দ্রে প্রায় ৩ হাজার বুথে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। টিকাদান কার্যক্রম সুন্দরভাবে হচ্ছে।
নারীদেরকে আরও বেশি টিকা নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষকদের টিকা দ্রুত দেয়া হবে। এমনিতেই শিক্ষকরা বয়স অনুযায়ী দ্রুত পাবেন। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ এর মধ্যে সে সব শিক্ষকরা পাবেন। তবে বয়স ১৮ এর নিচে কোন শিক্ষক টিকা পাবে না। ১৮ নিচে শিক্ষার্থীরাও টিকা পাবে না। তাদের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত দিবে সেভাবে টিকা দেয়া হবে।
এদিকে, দেশব্যাপী চলমান টিকাদান কর্মসূচিতে সারা দেশে আরও দুই লাখ ২৫ হাজার ২৮০ জন টিকা নিয়েছেন। যাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৩৯ হাজার ৭৮০ জন এবং নারী ৮৫ হাজার ৫০০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার বলা হয়েছে, দেশের এক হাজার ৪০০ টিকাদান কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ৩ লাখ ৬০ হাজার টিকা দানের সক্ষমতা রয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশে করোনার টিকা নিয়েছেন ২৩ লাখ ৮ হাজার ১৫৭ জন। যাদের মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৫ জন এবং নারী সাত লাখ ৮৯ হাজার ৪৪২ জন।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ টিকার সমবন্টন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের আহ্বান
দেশে করোনার টিকার অভাব নেই, ভবিষ্যতেও হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কার্যক্রম আরও একধাপ এগিয়ে গেল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানী ঢাকার ৪৭টি টিকাদান কেন্দ্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৯ হাজার ৪৪১ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত মোট তিন লাখ ৬ হাজার ১৮৩ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ ৩ হাজার ৩৪৯ জন পুরুষ এবং এক লাখ ২ হাজার ৮৩৪ জন নারী রয়েছেন।
এর আগে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে পাঁচজনকে টিকা দেয়া হয়।