দেশে করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৮৮ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৩৯৩ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৩৪১ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৫৫ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে বুধবার অধিদপ্তর জানায়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৭ জন মারা গেছেন এবং ২ হাজার ৯৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৯২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৯.৩৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: এবার চীনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল সরকার
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৯২৮ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৭৭ হাজার ১০১ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫১ শতাংশ।
চীনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন
সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য চীনের তৈরি সিনোফার্ম ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) এক সভায় চিনের তৈরি ভ্যাকসিনটি জরুরি প্রয়োজনে প্রয়োগের জন্য অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানান ডিজিডিএ মহাপরিচালক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়।
মাহবুবুর রহমান বলেন, সিনোফার্মের টিকাটি চীনসহ বিভিন্ন দেশে অনুমোদিত। এই টিকার সব ডাটা আমরা পেয়েছি। সরকারিভাবে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এগুলো আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের দিয়ে আমরা যাচাই-বাছাই করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের একটা পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি কমিটি আছে। এই কমিটি ১২ সদস্য বিশিষ্ট। তারা এই টিকাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছে। আমরা দেখতে পেয়েছি কার্যকরী ক্ষমতা অনেক ভালো।
তিনি আরও বলেন, এক দেড় সপ্তাহের মধ্যেই উপহারের ৫ লাখ টিকা চীন থেকে পাওয়া যাবে। তারপর পর্যবেক্ষণ করে বিতরণ শুরু হবে। এরপর জি টু জি বেসিসে সরকার কেবল কিনবে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর কোনও দেশই স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দেয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারত থেকে আনা অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজের স্বল্পতা দেখা দেয়ায় গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকে করোনার প্রথম ডোজের টিকা দেয়া কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে সরকার। ভারতে করোনা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে চুক্তি অনুযায়ী টিকা প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।