তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আসন্ন ঈদ উল আজহায় বাংলাদেশ রেলওয়ে কোরবানির পশু পরিবহন করবে। ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুয়ায়ী যেখানে রেল নেটওয়ার্ক আছে সেখান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পশু পরিবহন করব। যেখান থেকে চাহিদা আসবে সেখান থেকে পরিহন করব।’
মঙ্গলবার রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন মন্ত্রী আরও বলেন, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মহলের সাথে আলোচনা করে সম্ভাব্য দিন তারিখ, রুট ও স্টেশন নির্ধারণ করা হবে।
‘ব্যবসায়ীদের চাহিদার ভিত্তিতে যে কোনো দিন থেকেই এ ট্রেন চালু করা যাবে,’ যোগ করেন রেলমন্ত্রী সুজন।
মন্ত্রী জানান, গাইবান্ধা বা পাবনা-কুষ্টিয়া থেকে চট্রগ্রামে প্রতি গরুর ভাড়া সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ এবং ঢাকায় ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা হতে পারে।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, ময়মনসিংহ, জামালপুর, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাক থেকে পশু ঢাকায় আসে। আমরা রেলের ওয়াগন দিয়ে পশু পরিহন করব। একেকটা ওয়াগনে ১৫-২০টি গরু পরিহন করা যায়। আমরা একটি রেলে একাধিক ওয়াগন সংযোগ করে পশু পরিহন করব।’
আগ্রহী ব্যবসায়ীরা রেলওয়ের কন্ট্রোল নম্বর ০১৭১১-৬৯১৫২০-এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ রেলওয়ে আম পরিবহণের সুবিাধার্থে ‘ম্যাংগো স্পেশাল’ নামে ট্রেন চাপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে পরিচালনা করছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা সহজেই আম ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে খুবই অল্প ভাড়ায় পরিবহন করতে পারছে।