রেনুর পরিবারের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
চার সপ্তাহের মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, শিক্ষা সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিএমপি কমিশনার, বাড্ডা থানার ওসি, সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা বোর্ডের সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট রেনুর বোন নাজমুন নাহার নাজমা ও ভাতিজা সৈয়দ নাছির উদ্দিন এ রিট দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই বাড্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে তাসলিমা বেগম রেনুকে (৪০) ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।
রাজধানীর মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন রেনু। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে রেনুর বিচ্ছেদ হয়। তার ১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। ছেলেটি বাড্ডায় বাবার সঙ্গে থাকে।