গণপিটুনি
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গণপিটুনির ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
মব জাস্টিস বা গণপিটুনির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দেশের সব সচেতন নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করছে পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি কোথাও কোথাও গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার নৃশংস ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ধরনের মব জাস্টিস কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।’
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই উল্লেখ করে পুলিশ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘কেউ অন্যায় করলে বা অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বিচারের বিধান রয়েছে। কোনো ব্যক্তি অন্যায় বা অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে; কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।’
দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কোনো ব্যক্তি অন্যায় বা অপরাধ করলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশকে জনবান্ধব ফোর্সে রূপান্তরের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
২ মাস আগে
গণপিটুনির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনি ও খাগড়াছড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিনভর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের নেতৃত্বে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণপিটুনির বিচারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্য এলাকায় মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ভেতরে ওই ব্যক্তিকে হত্যার প্রতিবাদে 'নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন এক পরিবেশ তৈরি করছে, যেখানে 'মোবোক্রেসি'কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই নৃসংশ মৃত্যু হয়েছে।
বিকেল থেকেই বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাবি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে রাস্তায় নেমে আসেন। সন্ধ্যায় তারা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করে 'গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট'। ছাত্র রাজনীতি গণপিটুনির মূল কারণ নয়। তাই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা অযৌক্তিক বলে তারা দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, প্রশাসন প্রতিটি হল সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বিধিনিষেধের সমালোচনা করে বলেন, প্রশাসনের গাফিলতি হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে 'স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ' ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন হলের আরেক দল শিক্ষার্থী। তারা জড়িতদের বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
একই সঙ্গে খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী-আনসার সদস্যদের সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন
২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনজনের মৃত্যু
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক যুবক। পরে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে ওই যুবকেরও মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ধুবড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন আবদুস সাত্তার (৫০) ও তার ভাতিজা মোহাম্মদ আসাদুল (২৮) এবং হত্যায় অভিযুক্ত একই গ্রামের তালেব মিয়া (৩০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আবদুস সাত্তারের সঙ্গে একই গ্রামের তালেবের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তালেব ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাত্তারকে কোপাতে থাকে। এসময় চাচাকে বাঁচাতে সাত্তারের ভাতিজা আসাদুল এগিয়ে গেলে তাকেও কোপায় তালেব। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আহত চাচা-ভাতিজাকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে তালেবের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, নিহত চাচা-ভাতিজার লাশ মরদেহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তালেবের লাশ ঘটনাস্থলেই আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
২ মাস আগে
বগুড়ায় চাঁদা তুলতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
বগুড়ার কাহালুতে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চাইতে গিয়ে গ্রামবাসীর পিটুনিতে রাকিব হোসেন (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
ফনিদ্রনাথের মেয়ের বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে ফনিন্দ্রনাথের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গণপিটুনিতে নিহত প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত যুবক বিকাশ
রাকিব হোসেন কাহালু উপজেলার জামগ্রাম ইউনিয়নের পরিশেষ পুর্বপাড়ার সামছুল হকের ছেলে।
এলাকাবসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের শিবা কলমা গ্রামের ফণীন্দ্রনাথের বাড়িতে ফনিদ্রনাথের মেয়ের বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতা বাহিনীর লোকজন ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এসময় বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় তারা। পরে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে আতা বাহিনীর লোকজনকে ধাওয়া দেয়। এই সময় আতা বাহিনীর সদস্য রাকিব গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়লে লোকজন তাকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, রাকিব চিহিৃত সন্ত্রাসী এবং একাধিক মামলার আসামি। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ছিনতাইয়ের অভিযোগে গণপিটুনি, দিনাজপুরে ২ যুবক নিহত
খুলনায় গণপিটুনিতে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ নিহত ৩
২ মাস আগে
ছিনতাইয়ের অভিযোগে গণপিটুনি, দিনাজপুরে ২ যুবক নিহত
ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দিনাজপুর সদরে গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার রামসাগর হাজীর দিঘী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জামালপুর কারাগারে সংঘর্ষে ৬ বন্দি নিহত
খবর পেয়ে রবিবার (১১ আগস্ট) সকালে লাশটি উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
নিহত দুজন হলেন- দিনাজপুর পৌর শহরের ৪ নম্বর উপশহরের বাসিন্দা তারেক (১৭) এবং নিমনগর বালুবাড়ির বাসিন্দা শুভ মেরাজ (২০)।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, শনিবার মধ্যরাতে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে যাওয়ার নাম করে রামসাগর হাজীর দিঘী এলাকায় অটোচালক আব্দুর রহিমকে পিটিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। পরে চালকের চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে এসে তারেক ও শুভ মেরাজকে গণধোলাই দেয়। এতে তারা গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে রাত ৩টায় তাদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: হাতিয়ায় ট্রলারডুবিতে নিহত ৪
রাজনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান নিহত
৩ মাস আগে
খুলনায় গণপিটুনিতে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ নিহত ৩
খুলনায় বিজয় মিছিলের ওপর গুলি করার ঘটনায় গণপিটুনিতে কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মহসিন রেজাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।সোমবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অপর দুজন হলেন- জি এম মহসিন রেজার গাড়িচালক আলমগীর হোসেন ও ব্যক্তিগত সহকারী মফিজুল ইসলাম।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবর পেয়ে সাধারণ জনতা বিজয় মিছিল বের করে। মিছিলটি জি এম মহসিন রেজার বাসভবনের সামনে গেলে তিনি ব্যক্তিগত পিস্তল দিয়ে মিছিলের ওপর ৭ রাউন্ড গুলি করেন। এতে সাব্বির, আলতাফ, আবু মুছা, নূরুজ্জামানসহ ৭ জন আহত হয়।
পরে বিক্ষুব্ধ জনতা জি এম মহসিন রেজার বাসভবনে ঢুকে তাকে ও তার দুই সহযোগীকে মারধর ও বাড়ির আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে জিএম মহসিন রেজাসহ তিনজন ঘটনাস্থলে নিহত হন।
৩ মাস আগে
গণপিটুনিতে নিহত প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত যুবক বিকাশ
দিনাজপুরে প্রতিবেশীকে হত্যার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক বিকাশের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিকাশের মৃ্ত্যু হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
এর আগে শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বিকাশের হাসুয়ার কোপে গণেশ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এরপর স্থানীয়রা বিকাশকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকালে বিকাশ হাসুয়া দিয়ে গনেশকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন বলেন, দুইজনকে কোপানোর ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে বিকাশকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ১
বাগেরহাটে অটোরিকশাচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, রিকশাচালক আটক
৬ মাস আগে
গাজীপুরে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ২ জন নিহত
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ২ জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামে অপর একজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, রাত দেড়টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে এক কৃষকের বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেন। এ সময় বাড়ির লোকজন গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করলে এলাকাবাসী জড়ো হন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী গ্রামে ধানখেতে লুকান তিনি। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধানখেতে থেকে খুঁজে বের করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে তিনিও মারা যান।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর মিয়া বলেন, গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, উভয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, ৪ যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৪ জনকে গণপিটুনি
৭ মাস আগে
হবিগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
হবিগঞ্জে লাখাইয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে হিরাজ মিয়া নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ সময় জনতার হাতে আব্বাছ মিয়া নামে আরও এক ডাকাত আটক হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলায় লোকড়া-মাদনা সড়কের ঝনঝনিয়া সেতু এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত, গুলিবিদ্ধ ৫
নিহত ডাকাত হিরাজ সদর উপজেলার ধল গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে এবং আব্বাছ একই গ্রামের মস্তু মিয়ার ছেলে।
লাখাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হায়দার বলেন, মঙ্গলবার রাতে ৮ থেকে ১০ জন ডাকাত লুকড়া-মাদনা সড়কের গোয়াখাড়া গ্রামের ঝনঝনিয়া ব্রীজের পাশে অবস্থান নেয়। ডাকাতদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে এলাকার লোকজন ডাকাতদেরকে ধাওয়া করে হিরাজ মিয়া ও আব্বাছ মিয়াকে আটক করে গণপিটুনী দেয়।
খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ডাকাতকে উদ্ধার করে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঐদিন রাত ৩টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক হিরাজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হিরাজ মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
মানিকগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
৭ মাস আগে
সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, ৪ যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে চার যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
গুরুতর আহত আরও এক যুবককে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে গণপিটুনি, যুবক নিহত
রবিবার (১৮ মার্চ) রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরি গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-খ) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, রবিবার রাতে বাগরি গ্রামের বিলে একসঙ্গে ১০/১২ জন যুবককে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা গ্রামে এসে জানায়। এরপর মসজিদের মাইকে ডাকাত দলের উপস্থিতির কথা প্রচার করা হয়।
এসময় আরও তিন গ্রামের বাসিন্দারা বিলের সামনে জড়ো হয়ে যুবকদের ঘিরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেওয়া শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজনর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
পাবনায় গণপিটুনিতে নিহত ৩
৮ মাস আগে