গোপালগঞ্জের মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান বাসু হত্যা মামলার সাক্ষী ব্যবসায়ী মিন্টু মিনা ওরফে কোটন মিনাকে (৪৮) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার বেলা ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরের ফকিরকান্দি সড়কের পাশের থেকে কোটনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার কোটন মিনা গোপালগঞ্জ শহরের ফকিরকান্দি গ্রামের আক্তার মিনার ছেলে। কোটন শহরের কুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের মিনা মটর্সের মালিক। তিনি মটর পাটর্স ও পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরির্দশক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি কুয়াডাঙ্গা থেকে ফকিরকান্দির নিজের বাড়িতে যান। ঘরে প্রবেশের আগেই মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে তিনি বের হন। দীর্ঘ সময় পর বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাত ১২টার দিকে পরিবারের লোকজন তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাড়ির পাশে ফকিরকান্দিতে স্থানীয়রা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে জামিনে এসে খুন হলেন যুবক, আটক ১
লাশের বাম পাঁজরে কোপের চিহ্ন ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং লাশের মুখ মাফলার দিয়ে বাঁধা ছিল বলে জানিয়েছে ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, কোটন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রবিবার সকাল থেকে ফকিরকান্দি গ্রামে মিনা বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।স্বজনদের কান্না আর আহজারিতে বাড়ির পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
নিহতের চাচা জাকির মিনা (৫০) বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ভাইয়ের ছেলে কোটন মিনাকে পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার ধারণা। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হত্যকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন,আগামী ২৪ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর বাসু হত্যা মামলায় কোটনের সাক্ষ্য দেয়ার দিন ধার্য ছিল। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এই সাক্ষ্য দেয়াকে কেন্দ্র করে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে।
পরিদর্শক শীতল চন্দ্র পাল আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে জোড়া খুন: ৮ জন খালাস, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল