স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ দুর্গত এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনকে স্থানীয় প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তা অনুযায়ী, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ প্রবল বেগে শনিবার বিকালে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দুর্গত জেলাগুলোর স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক পর্যান্ত ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদ নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া, ঢাকার কেন্দ্রীয় ঔষধাগার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওষুধের মজুদ পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং পর্যান্ত পরিমাণ ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদ আছে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দুর্গত এলাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
দুর্গত এলাকার গর্ভকালীন ও জরুরি প্রসূতি সেবার প্রতি বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।