বুধবার বেলা ১১টার দিকে জাহাজ থেকে ১৭ চীনা নাবিককে নামিয়ে তিন মাইক্রোবাস যোগে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রওনা হয়। সেখান থেকে বিমানযোগে তারা থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হয়ে সড়কপথে নিজ দেশ চীনে যাবেন।
লালবাগ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসেম আবদুল্লাহ জানান, চীনের ১৭ নাবিক পাঁচদিন ধরে আমাদের জাহাজে ছিল, করোনাভাইরাস আতঙ্কে এসব নাবিকদের নিচে নামতে দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তারি পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া না যাওয়ায় তাদের এজেন্সির মাধ্যমে বিমানের টিকেট দিয়ে নিজ দেশে পাঠানো হয়।’
প্রসঙ্গত, জাপানের পতাকাবাহী ইউনি হারভেস্ট নামের কার্গো জাহাজটির ওজন প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন। এটি ২০ জানুয়ারি চীনের উইফং বন্দর থেকে রওনা দিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশে পৌঁছে। পরে সেটি ভাঙার জন্য সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের লালবেগ শিপইয়ার্ডে রাখা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস আতঙ্কে জাহাজটিতে থাকা চীনাদের নিচে নামতে দেয়া হয়নি।
জাহাজটির আমদানিকারক লিয়াকত আলী জানান, ‘চীন থেকে জাহাজটি কাটার জন্য আনার পর যথানিয়মে ইয়ার্ডে সৈকতায়ন করা হয়। পরে জাহাজ থেকে অন্যান্য দেশের নাবিকরা নেমে গেলেও ১৭ চীনা নাবিক এতে আটকা পড়েন।’