চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে তুলে নিয়ে সীতাকুণ্ড এলাকায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে সীতাকুণ্ড থানার বেড়িবাঁধ এলাকা ও ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাতে গণমাধ্যমকে এ ঘটনা জানায় ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন গাড়ি চালক মো. মেহেদী হাসান ওরফে মুন্না (১৯), মো. হাসান তারেক রনি (২৯), মো. মাকিব (২২)।
এর আগে ভুক্তভোগী কিশোরীর বড়বোন বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে ‘ধর্ষণ’: সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
পুলিশ জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী তার এক ভাবীর সাথে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাসা থেকে বের হয়। পথে একটি লেগুনা গাড়িতে ভুক্তভোগী ও তার ভাবী উঠার চেষ্টা করে। কিন্তু অসর্তকতাবশত কিশোরী গাড়িতে উঠতে না পারলে গাড়িটি তাকে পথে রেখেই গন্তব্যের দিকে ছুটে যায়। পরে কিশোরী আগ্রাবাদ সিএন্ডএফ টাওয়ারের সামনে কান্নাকাটি করতে থাকলে গাড়ি চালক মেহেদী বিষয়টি লক্ষ করে তার কাছ থেকে ঘটনা জেনে তাকে বাসায় পৌঁছে দিবে বলে তার গাড়িতে উঠায়। ওই কিশোরী মেহেদীর গাড়িতে উঠলে তাকে সীতাকুণ্ডের কালুশাহ মাজার এলাকায় গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে আটকে রেখে মেহেদী তার অপর দুই বন্ধুকে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে আসামি মেহেদী কিশোরীকে তার মনসুরাবাদের ঠিকানায় পৌঁছে দিয়ে ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। কিশোরী এই ঘটনা অনেকদিন পরিবারের কাছ থেকে গোপন রাখে।
ঘটনার কিছুদিন পর কিশোরীর শারীরিক অসুস্থতাসহ নানা লক্ষণ দেখা দিলে পরিবারের সদস্যরা তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে সে তার সাথে পাশবিক ঘটনার বর্ণনা দেয়। বুধবার কিশোরীকে তার পরিবার ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে মনসুরাবাদ এলাকায় পৌঁছালে ঘটনাচক্রে মূল আসামি মেহেদীকে দেখতে পায়। পরে কিশোরীর বোন ও তার স্বজনরা মেহেদীকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন করলে ডবলমুরিং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল আরও দুই অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরি দেয়ার নাম করে কিশোরীকে ধর্ষণ