চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ অটোরিকশাচালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার রাতে উপজেলার বৈলছড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- উপজেলার বৈলছড়ি ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের শফিক আহমেদের ছেলে মো. মোক্তার (৪০), একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুস ফকিরের ছেলে মো. সরওয়ার (৩৫) ও ৪ নং ওয়ার্ডের ফরিদ আহমদের ছেলে নূরুল আলম (৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয়রা তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুই বোনকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’,আটক ৩
অভিযোগে জানা গেছে, দুই সন্তানের জননী (৩৪) ওই নারী গত শুক্রবার (১৩ মে) সকাল ১১ টায় উপজেলার কালীপুরের পূর্ব পালেগ্রাম শাহবারিয়া মাদরাসায় যায়। ওই মাদারাসা থেকে বের হয়ে বাড়িতে ফিরে আসার জন্য কালীপুর ফকিরের দোকান এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে শহিদুল ইসলামের অটোরিকশায় ওঠে। ওই গৃহবধূকে শহিদুল ভিতরের রাস্তা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বৈলছড়ি আজিজিয়া (ফকিরপাড়া) মাদরাসা সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে কালীপুর-বৈলছড়ী সীমান্ত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বরকাটা এলাকার গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়।
সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পাঁচ থেকে সাতজনের একটি সংঘবদ্ধ দল ওই নারীকে শারীরিক মারধরসহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরদিন শনিবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বাঁশখালী থানা পুলিশ।
গতকাল সোমবার (১৬ মে) দিবাগত রাত ১ টায় নির্যাতিতা ওই নারীর মা বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর মঙ্গলবার একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয় বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ২
কুড়িগ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ১